চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম জেলার "আমিরাবাদ ও পদুয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী, টংকাবতী খালের তীরবর্তী হিন্দু-মুসলিমদের ঘরবাড়ি, স্কুল, রাস্তাঘাট ও ব্রীজ রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ করায় বালু খেকো ও ভূমিদস্যুদের দ্বারা দায়েরকৃত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, চাঁদাবাজি ও মানহানিকর মামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন হয়।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার লোহাগাড়া বটতলী একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলার স্বীকার ভুক্তভোগীরা বলেন- আমরা আমিরাবাদ ও পদুয়া ইউনিয়ন এর তেওয়ারিখীল হাজারবিঘার সচেতন নাগরিক হয়। সম্প্রতি, আমাদের পাশের জামছড়ী খালে সরকারি লিজ দেয়া হয় ইমতিয়াজ ফারুকি নামে এক ব্যক্তির নামে। যদিও এই বালু উত্তোলন কার্যক্রম পরিচালনা করেন আওয়ামী দূসর, ভূমিদস্যু এবং আনোয়ার কামালের ভাগিনা নামে নেজাম উদ্দীন, আইয়ুব চৌধুরী ও ইমরান গং। সে জামছড়ী বাদ দিয়ে টংকাবতী থেকে নিয়ম লঙ্ঘন করে বালু উত্তোলন পরিচালনা করে। ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে দুই তীরের চলাচলের রাস্তা, বাড়িঘর ভাঙন।পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানে ব্যাহত অত্যাধিক শব্দের কারণে।রাতের বেলা উত্তোলন করে সীমারেখার বাইরে গিয়ে ইত্যাদি। উপরোক্ত সমস্যার কারণে আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে নিউজ করি। যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। পরবর্তীতে আমরা একটি উচ্চ আদালতে রিট করি বালু উত্তোলন স্থগিতের আদেশ চেয়ে। যেটা আমরা গত ১৬ তারিখ হাতে পাই। যার কারণে তাদের শোকজ করা হয়।
এসব প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আমাদের কয়েকজন ভাইয়ের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার কপি ও আমাদের হাতে আছে। যেখানে তারা বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেন। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, ডিজেল চুরি, হামলা ইত্যাদি যার সাথে আমাদের কারো কিঞ্চিত পরিমাণ সম্পর্ক নেই। তাদের দেয়া সংয গুলো যে ভূয়া তার প্রমাণ ও আছে আমাদের হাতে। আমাদের অপরাধ শুধু আমরা কেন প্রতিবাদ করেছি এটুকুই। যে ঘটনা তারা বিবরণ করেছেন তার ছবিও আমাদের কাছে আছে। ওখানে কোনো বহিরাগত লোক ছিল না আমরা সবাই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
অতএব, তাদের প্রতি আমাদের দাবি তারা এই মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য আমাদের কাছে ক্ষমা চাইবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। অন্যথায় আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিব।