
প্রফেসর ডক্টর মোঃ মতিউর রহমান
ভোরের সূর্য নামে সোনালী আলো নিয়ে,
পাহাড় জেগে ওঠে, নদী নাচে আনন্দে।
পাখিরা গান তোলে, শিশুরা হাসে,
মানুষ শেখে—ভালোবাসা মানেই জীবন।
সত্য পাহাড়ের চূড়ায় জ্বলে,
মিথ্যা তার কাছে কখনো পৌঁছাতে পারে না।
যে চূড়ায় ওঠে,
তার অন্তরে জ্বলে ন্যায়ের আগুন,
তার চোখে ভাসে মানবতার বিশাল সাগর।
ক্ষমতা যদি লোভের হাতে পড়ে,
নদী শুকিয়ে যায়, বন নীরব হয়।
কিন্তু ক্ষমতা যদি ভালোবাসার হাতে থাকে,
তাহলে ফুল ফোটে ধানক্ষেতে,
শিশু হাসে রোদেলা আকাশে।
রাজনীতি ন্যায়ের সেতু হলে,
ধনী-গরিব, শহর-গ্রাম, ধর্ম-বর্ণ সবকিছুকে জুড়ে দেয়।
নীতি ছাড়া রাজনীতি মরুভূমির কুয়ো,
যেখানে জল নেই, আশা নেই, জীবন নেই।
বন শুধু গাছ নয়, সে শিক্ষক।
পাখি শেখায় গান, প্রাণী শেখায় ধৈর্য,
ঝরনা শেখায় জীবনের স্রোত।
সমুদ্র বলে—”মানবতা শিখো, প্রকৃতির সঙ্গে মেলো।”
মানুষ শুধু দেহ নয়—সে অনুভব, স্মৃতি, ভালোবাসা।
যখন মানুষ অন্তরে সত্য খুঁজে পায়,
সে প্রকৃতির সঙ্গে মিলিত হয়,
নিজের জীবন পূর্ণ করে।
ধর্ম ভালোবাসা শেখালে,
সে নদী—সবার প মিটায়।
রাজনীতি ন্যায়ের আলোয় ভরা হলে,
সে গাছ—সবার ছায়া দেয়।
যেখানে অন্যায় শাসন করে,
গাছ শুকিয়ে যায়, পাখি নীরব হয়, শিশু কাঁদে।
ন্যায়ের সৈনিকরা আলো নিয়ে আসে,
তাদের হাতে জ্বলে মানবতার মশাল।
চাষির ঘাম ধানক্ষেতে সোনা হয়ে ওঠে,
শ্রমিকের হাত শহর গড়ে,
শিক্ষকের বাণী ভবিষ্যৎ গড়ে।
তারা-ই প্রকৃত রাজা, কারণ তারা জীবন সৃষ্টি করে।
প্রেম যদি ন্যায়ের সঙ্গে মিলে যায়,
পৃথিবী হয়ে ওঠে স্বর্গ।
মানুষ হয় দেবদূত, শহর-গ্রাম হয় গান।
প্রকৃতি হাসে, নদী নাচে, আকাশ গাইবে মানবতার সুর।
সমুদ্র বলে—”সবকে গ্রহণ করো, হিংসা ছেড়ে ভালোবাসো।”
ঢেউ বলে—”সত্যের জন্য দাঁড়াও, অন্যায়ের দেয়াল ভেঙে ফেলো।”
আকাশ উড়িয়ে দেয় নীল পতাকা, যা শেখায়—সবার জন্য শান্তি।
শহরের কোলাহল থেমে যায় ন্যায়ের হাতে,
গ্রামের মাঠ হাসে আনন্দে।
মানুষের হৃদয় তখন স্বাধীন,
পৃথিবী তখন মানবতার আলোয় পূর্ণ।
বসন্তের ফুল হাসে, বর্ষার বৃষ্টি ভেজায় হৃদয়,
শীতের কুয়াশা মনকে শীতল করে,
গ্রীষ্মের রোদ উষ্ণ করে সম্পর্ক।
মানুষ আর প্রকৃতি একসাথে নাচে,
সৃজনশীলতার সুরে পৃথিবী ধন্য।
শিশুরা দৌড়ে মাঠে,
হাসি ছড়িয়ে দেয় জীবন।
তাদের চোখে জ্বলে আশা,
তাদের মনের দৃষ্টি ভরে মানবতার আলোতে।
রাজনীতি মানে হওয়া উচিত সেবা,
ক্ষমতা মানে সুরক্ষা,
ধর্ম মানে ভালোবাসা,
আইন মানে সমান অধিকার।
প্রেমিক-প্রেমিকা হাতে হাত রেখে বলেন—
“চলো মানবতার জন্য লড়ি,
ভালোবাসা ছড়িয়ে দিই, ন্যায় বজায় রাখি।”
নদী বয়ে চলে পাহাড় থেকে সমুদ্রের কাছে,
ঝরনা খুশিতে নেচে যায় বনভূমির ঢেউয়ে।
মানুষের চোখের জলে মিলিত হয় সে,
সকলকে শেখায়—ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও।
বন আমাদের শিক্ষক।
গাছ শেখায় স্থিতিশীলতা,
পাখি শেখায় গান, প্রাণী শেখায় ধৈর্য।
প্রকৃতি বলে—”মানুষ, তুমি আমার সেবা করো।”
রাতের আকাশে হাজারো তারা,
যেমন ন্যায়ের আলো ছড়িয়ে দেয় পৃথিবী।
মানুষ যদি তার অন্তরে এই আলো জ্বালায়,
অন্ধকার আর ভয় দূরে চলে যায়।
মানুষের কণ্ঠস্বর হলো ঝর্ণার সুর,
শক্তি, প্রেম, আশা নিয়ে ভরা।
যে কণ্ঠস্বর উঠে সবার সাথে মিলিয়ে,
সে পৃথিবীকে শান্তি দেয়।
শিশুরা খেলে মাঠে,
পাখি নাচে আকাশে,
ঝরনা বাজে সুরে।
এ সুর মানবতার,
এটি প্রকৃতির উপহার।
আকাশে উড়ে নীল পতাকা—
যা শেখায় সবুজ বন, নীল সমুদ্র,
সোনালি ধান, লাল সূর্যাস্ত।
সবাই মিলিত হলে, পৃথিবী হাসে।
শহরের কোলাহল থেমে যায়,
গ্রামের মাঠ হাসে আনন্দে।
মানুষের হৃদয় স্বাধীন হয়,
পৃথিবী মানবতার আলোয় পূর্ণ হয়।
এসো, আমরা সবাই মিলে বলি—
“সবুজ থাকুক, নীল থাকুক,
মানুষ বাঁচুক ভালোবাসায়,
ন্যায় গাইবে আমাদের জয়গান।”
প্রফেসর ডক্টর মোঃ মতিউর রহমান
পরিচালক, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট
লক্ষীপুর, কাচাবাজার, সাহেব পাড়া, রাজশাহী