লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
আমেরিকা তার যুদ্ধ বিমান বহকারী শীপ “শেফার্ড ফোর্ড” সহ অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান কাতার এয়ার বেজে জমা করছে অগুনিত! ইসরায়েল ইতালি সহ ল্যাতিন আমেরিকার ১২ টা দেশের গাঁজায় ত্রাণ বাহী জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে! এমন অমানবিক আচরণের কোন প্রতিবাদ করছে না ৫৭ টা মুসলিম দেশের কেউ, বরং মধ্যপ্রাচ্যের যত দেশে মার্কিন সেনা ঘাটি আছে সেগুলো সচল হয়ে উঠছে! মুসলিম দেশ মিশর গাঁজার পাশে সিনহাই উপদ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে! উল্লেখ্য, মিশর এখন সামরিক জান্তার শাসন, আব্দেল ফাত্তাহ মার্কিন সমর্থন পুষ্ট একজন শাসক! তিনি ১.৩ বিলিয়ন সামরিক সাহায্য পান বাৎসরিক মার্কিন প্রতিরক্ষা থেকে! অতএব, সবচেয়ে বেশী সেনা ও অস্ত্রধারী দেশটা মুসলমানদের কাজে আসবে তেমনটা যারা ভাবছেন তারা ভুলের স্বর্গে আছেন। মার্কিন সারাবিশ্বে বিক্রিত বাৎসরিক অস্ত্রের ১৭% কেনে মিশর এবং ৩৭% সৌদি আরব!
ইরানকে আক্রমণের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতেছে আমেরিকা তা সাধারণ জ্ঞান থাকলেই বোঝা যায়!
প্রিয় পাঠক, হাঙ্গেরি এবং চেকো শ্লোভাকিয়া দু’টো দেশ রাশিয়ার উপর তেল-গ্যাস অবরোধ মেনে নেয় নাই সেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে! তারা ইউক্রেন পথে যে তেল-গ্যাস সরবরাহ ছিলো তা উপভোগ করে আসছিলো! গত তিন-চার দিন আগে সেই সরবরাহ লাইন উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন! বুঝতে মোটেই কষ্ট হয় না, গুরুর পরামর্শে এমন টা হয়েছে! হাঙ্গেরি ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে জড়ায় যেতে পারে। সে NATO সদস্য কিন্তু NATO নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আজ NATO তার পক্ষে আসবে না তা ধরে নেয়া যায়! কারন সারা ইউরোপের ৪৮ টা দেশে অঘোষিত দুর্ভিক্ষ চলছে বাকী দু’টো দেশ কেন আরামে থাকবে! জার্মান রাশিয়া তেল-গ্যাস পাইপ লাইন কৃষ্ণ সাগর তলদেশে ৫২ বিলিয়ন খরচ করা লাইন ও C I A পরামর্শে ইউক্রেন উড়িয়ে দিয়েছিলো বলে এখন প্রকাশিত হচ্ছে!
পাকিস্তান সৌদি আরব সামরিক চুক্তি কোন মতেই ইরানের পক্ষে নয় মোটেই, বরং পাকিস্তান সহ অধিকাংশ মুসলিম দেশ মার্কিন তাবেদার, কেউ মার্কিন বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে না! তাকে শক্ত করা হয়েছে ভারত কে ব্যস্ত রাখতে যা তে পাকিস্তান বাংলাদেশ রাখাইন আরাকান বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরী প্রবেশে ভারত কে রুখতে পারে। আফগানিস্তানের বিশ্ব মানের সামরিক বিমান বন্দর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্ত রুখে দিতে চীন সেখানে দখল নিয়েছে! অতএব চীন ভারত কে ধরার নিকটতম পথ হলো বাংলাদেশ করিডর, চিটাগং পোর্ট ও বঙ্গোপসাগর ব্যবহার! যুদ্ধ লেগে গেলে ভারত চীন রাশিয়া ইরান তুরস্ক মালেশিয়া বেলারুশ হাঙ্গেরি চেক প্রজাতন্ত্র উত্তর কোরিয়া জোটের মার্কিন টার্গেট যুদ্ধ ময়দান হবে বাংলাদেশ ভূখন্ড!
যে জায়গা থেকে চীন ভারতকে হাতের নাগালে পাওয়া যায়!
পাঠক, মার্কিন চিহ্নিত বেয়ারা তিনটা দেশ, ইরাক উত্তর কোরিয়া ও চীন কে শায়েস্তা করতে একটা বিশ্ব যুদ্ধ অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে! সে যুদ্ধ হবে NUCLEAR weapons WAR. যার তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়বে ছোট্ট বাংলাদেশের সমস্ত জায়গায়! সে বোমা চীনে পড়ুক বা ভারতে পড়ুক! ততদিনে মহেশখালী সেন্ট মার্টিন চিটাগং পোর্ট সব জায়গা চীন ভারতের টার্গেটে আসবে কারন, এমন একসময় আসবে দ্রুত, আমেরিকা বাংলাদেশের কোথায় সেনা ঘাটি করবে তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আমরা গরীব দুর্বল অস্ত্রের দেশ!যার গ্লোবাল ফায়ারফক্স রিপোর্ট বিগত পতিত সরকারের সময় ছিলো ৪৫ নাম্বারে, আর তো আর্থিক বা সামরিক কোনদিকে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে তা মনে হয় না, যেখানে স্টেট ব্যাংক অব বাংলাদেশের হর্তাকর্তারা দুদিন পর বেতন পাবেন কি-না তা নিয়ে ভীত (তথ্য, রাজনৈতিক নেতা রুমিন ফারহান) !
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ অনেক জায়গায় মার্কিন ঘাটি আছে, আক্রমণ হবে আপনার বাড়ীর আশেপাশে যে তেজস্ক্রিয়া থেকে আপনার মুক্তি নাই! সব সমুদ্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাসমান সেনা ঘাটি আছে তা অজানা নয় করো। সারা বিশ্বে ৮০০ মার্কিন সেনা ঘাটি আছে! তাদের সহযোগী যোদ্ধা দেশ আছে অধিকাংশ মুসলিম দেশ!
How America became Rich প্রবন্ধে আমি দেখিয়েছি, ইউরোপীয় দেশগুলোর নিজেদের সব যুদ্ধে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র সরবরাহ করেেছে ৫০০/৬০০% মুনফায়, আর আফ্রিকার কালো মানুষ খাটিয়ে।
এশিয়ার দেশগুলোকে চোখ রাঙিয়ে বা হাড্ডি ছুড়ে মেরে পক্ষে নিয়ে। আজ তো ইউরোপ আবার পথে বসে গেছে, তবুও তাদের N ATO এর খরচ ২% এর জায়গায় ৫% করা হয়েছে, মরার উপর খাড়ার ঘা! তাদের ও শৃঙ্খল মুক্ত হতে বিশ্ব যুদ্ধ চাই! অতএব বিশ্বযুদ্ধ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।