২০২৫ সালের ৫ই অক্টোবর বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে “বিশ্ব শিক্ষক দিবস” উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করা সামাজিক সংগঠন ‘কাম ফর আনপ্রিভিলিজড চাইল্ড (সিইউসি)’-এর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এক স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় সিইউসি স্কুল প্রাঙ্গণে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইউসির সম্মানিত উপদেষ্টা, রোটারিয়ান পিপি মোঃ ইফতেখার আলী বাবু, যিনি একজন উদার মনের ও সমাজসেবায় নিবেদিতপ্রাণ মানুষ হিসেবে সকলের কাছে গভীর শ্রদ্ধার পাত্র।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউসি সংগঠনের সভাপতি মোঃ শাহিন হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিইউসির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ।এই অনুষ্ঠানে খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস, যিনি দীর্ঘ এক বছর ধরে বিনামূল্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিল্প ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সিইউসি স্কুলের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।এই প্রাপ্তিতে খুলনা আর্ট একাডেমির পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত। এই অনুষ্ঠানে সিইউসি স্কুলের সকল শিক্ষককেই সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস অনুষ্ঠানে সকলের মাঝে বলেন, “আমি যা কিছু করি, তা কোনো প্রত্যাশা নিয়ে নয়। সপ্তাহে একদিন সময় বাঁচিয়ে এই শিশুদের শিক্ষা দিতে পারা আমার জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি। আমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে আজ দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন এটাই আমার সত্যিকারের পুরস্কার।”তিনি আরও বলেন, “আমার দৃষ্টিতে শিক্ষক কেবল স্কুল বা কলেজের শিক্ষক নন; যিনি কাউকে কিছু শেখান, তিনিই প্রকৃত শিক্ষক। তাই পিতা-মাতা আমাদের জীবনের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তাঁদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।” চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তাঁর প্রয়াত পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং জীবিত মাতার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তিনি বলেন,“আমার পিতা-মাতার শিক্ষা ও আদর্শই আমার জীবনের দিশা। যেন সারাজীবন তাঁদের মতো শিক্ষাগুরুদের সম্মান জানিয়ে চলতে পারি এই প্রার্থনাই করি।”অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকল শিক্ষক ও অতিথিদের নিয়ে লাজেজ ডাইন রেস্টুরেন্টে এক আনন্দঘন ডিনারের আয়োজন করেন প্রধান অতিথি রোটারিয়ান পিপি মোঃ ইফতেখার আলী বাবু। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার আবহ, যা এই দিনের তাৎপর্যকে আরও অর্থবহ করে তোলে।