মোঃ রফিকুল ইসলাম টিটু, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মোহাম্মদ সবুজ মিয়ার সাথে স্থানীয় যুবকদের কথাকাটাকাটি রূপ নেয় নৃশংস হত্যাচেষ্টায়। গত ৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯টায় তাকে দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গুপ্তাঙ্গ কেটে দেয়া হয়। স্থানীয় অবাইদুরের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সবুজ মিয়া (৩৮) পিতা মৃত আ: সালাম, ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়ার সাথে রহিছ (পিতা মৃত তাজু মিয়া) এবং সাদ্দাম হোসেন (পিতা আব্দুল বারেক) উভয়েই নলগড়া গ্রামের বাসিন্দা, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিবাদ চলছিল। গত ৭ অক্টোবর রাতে অবাইদুরের দোকানে এই বিবাদ চরম আকার ধারণ করে।
একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে সাদ্দাম ও রহিছ ছাড়াও আরও পাঁচ থেকে সাতজন মিলে সবুজ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে আক্রমণ করে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তার গুপ্তাঙ্গ কেটে দেয়। ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর মা কুলসুমা আক্তার। তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে এই ঘটনা। আমার ছেলেকে অন্য কোন জায়গায় আঘাত করলেও মানা যেত, কিন্তু তাকে যেখানে আঘাত করা হয়েছে সেটা মেরে ফেলার জন্যই করা হয়েছিল।"
ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় মারাত্মক জখম অবস্থায় সবুজ মিয়াকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক সার্জারি ও সেলাই করে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। এ ব্যাপারে ধর্মপাশা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুবীর সরকার জানান, সবুজ মিয়ার যে জায়গাটি কেটে গিয়েছিল সেটা সতর্কতার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আশা করছি দিন দিনই তার উন্নতি হবে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে,এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে এই ঘটনার মিমাংসার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে ।
এলাকাবাসী এ ধরনের নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং মানুষ এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন এবং ন্যায়বিচার কামনা করছেন।