
প্রাণের নদী তিস্তা
প্রাণের নদী তিস্তা তোকে,
কতো ভালোবাসি।
সকাল বিকাল তোর কাছে,
আমি ছুটে আসি।
তোর তীরে ছিলো মোর,
সাত পুরুষের ভিটা।
তোর স্মৃতি আমার বুকে,
লাগে দারুণ মিঠা।
তোর বুকে মিশে আছে,
আমার বাপ দাদার বাড়ি।
তিস্তা নদী আমি যাই না,
অন্য কোথাও তোকে ছাড়ি।
আম কাঁঠাল লিচু ফলের,
বাগান ছিলো বড়।
তিস্তা রে তুই গ্রাস করে,
করলি সব জড়ো।
রোজ বিকেলে তিস্তা রে তোর
পাড়ে গিয়ে আমি বসি।
তোর দিকে তাকিয়ে শুধু,
জীবনের হিসেব কষি।
তিস্তা রে তুই জন্ন্মলগ্ন থেকে,
বয়ে চলেছিস একা।
চলার শেষ হয় না তোর,
পাইস না কাহারো দেখা।
ফুল বাগিচার ফুল
ফুল বাগিচায় ফুটেছে ফুল,
গোলাপ, জবা, বেলী।
ফুটেছে আরও রজনীগন্ধা,
হাসনাহেনা ও চামেলি।
তাঁর সথে ফুটেছে ফুল,
ডালিয়া এবং সূর্যমুখী।
জুঁই ফুল বকুল ফুলগুলো,
বাগিচায় আজ মহাসুখী।
নানান রঙের নানান ফুন,
দুলছে হাওয়ায় দুল দুল।
ভ্রমরা গুলো ফুলের উপর,
গাইছে গান গুণ গুণ।
রঙ বেরঙের ফুলের আভা,
ফুল বাগিচায় দিচ্ছে শোভা।
মন মাতানো ফুলের গন্ধে,
প্রকৃতি তার অপরুপ প্রভাব।
ঠকবাজ
মানুষ ঠকিয়ে মজা পায়,
এই সমাজের মানুষ।
যাকে ঠকায় সে ঠকে না,
ঠকে ওই অমানুষ।
মিষ্টি মধুর কথা বলে,
নানা ছলে বলে।
সরল সোজা মানুষগুলোকে,
ঠকায় সুকৌশলে।
ঠগবাজদের কাছ থেকে,
অতি সাবধান।
অকারণে প্রমাণ ছাড়া,
করো না আদান প্রদান।
ঠগবাজদের খপ্পরে পড়ে,
হইয়ো না সর্ব শান্ত।
চলা ফেরা ধৈর্য ধারণ
হও যেন তুমি শান্ত।
ব্যাঙের পায়ে ঘুঙুর
বাড়ির পাশে একটু দুরে,
আছে পদ্ম পুকুর।
সেই পুকুরে কিছু ব্যাঙ,
করছে ঘ্যাঙর ঘুঙুর।
পদ্ম ফুলের পাতার ফাঁকে
কোলা ব্যাঙ ডাকে।
খোকা খুকুরা তাই শুনিয়া,
অবাক হয়ে থাকে.।
কিছু সময় আবার পরে,
কোলা ব্যাঙেরা মিলে।
ডকছে জোরে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
চমকে উঠে যেন পিলে।
বাড়ির পাশে একটু দুরে,
বিশাল পদ্ম পুকুর.
বর্ষা কালে ব্যাঙেরা নাচে,
ব্যাঙের পায়ে ঘুঙুর।