লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
এবারের নোবেল বিজয়ী যারা হয়েছেন তাদের ভিতর "শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার" দেয়া হয়েছে "ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলের নেত্রী 'মারিয়া কোরিনা মাচাদো' কে "! যিনি তেল সমৃদ্ধ ভেনিজুয়েলা কে বিদেশি হস্তক্ষেপ করার জন্য কয়েকটা দেশ কে চিঠি দিয়েছিলেন! যার সবগুলো দেশ মার্কিন বলয় ভুক্ত! ইসরায়েলের "নেতানিয়াহু" তাদের অন্যতম একজন!
বাংলাদেশের ডুপ্লিকেট! ভিপি নূর কে পাঠানো হয়েছিলো ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা " মোসাদ" প্রধানের কাছে শেখ হাসিনা কে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার জন্য।
মোসাদ ইচ্ছে করলে সরিয়ে দিতে পারে, যেমন ফিলিস্তিনের হামাস প্রধান "হানিয়া" কে ইরানে হত্যা করেছে, লেবাননে চার লক্ষ হিযবুল্লাহ কমান্ডার "নসরুল্লাকে" সরিয়ে দিয়েছে! ইরানের প্রেসিডেন্ট "রাইসি" হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু বললেও তাকে সরিয়ে দিলো নসরুল্লার জানাজা শেষে ফেরার পথে!
প্রিয় পাঠক, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিয়ানমারের অংসান সুকি ও বাংলাদেশের ডঃ ইউনূসের পথ চলা মসৃন হয় নাই! দু'জন কেই মার্কিন নিজ স্বার্থে কাজে লাগিয়ে মই সরিয়ে নিয়েছেন!
তেল সমৃদ্ধ ভেনিজুয়েলার সরকার প্রধান "মাদুলাকে" মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে ও বাগে না আনতে না পেরে "নোবেল" অস্ত্র ব্যবহার করছে!
পাঠক, সুইডিশ রসায়নবিদ আলফ্রেড নোবেল ১৮৬৭ সালে "নাইট্রো গ্লিসারিন কে বিস্ফোরকে রূপান্তর করে " ডিনামাইট" তৈরি করেন! উদ্দেশ্য ছিলো পাহাড় ভাঙা বা এমনি বড় ভারি বস্তু কে বিস্ফোরণের মাধ্যমে চূর্ণ করা! কিন্তু তার ব্যবহার শুরু হলো মানব অকল্যাণে। যুদ্ধ বিগ্রহে ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলো। ভদ্রলোকেরা "আলফ্রেড নোবেলের" চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করা শুরু করলো পেপার পত্রিকা কবিতা প্রবন্ধে! তিনি মনো কষ্টে ভুগতে থাকলেন!
প্রায়শ্চিত্ত করতে তিনি তার সম্পদের অধিকাংশ অংশ উইল করে দিলেন শিক্ষাদীক্ষা ও শান্তি প্রিয় মানুষ দের "নোবেল পুরষ্কারের মাধ্যমে ১৮৯৫ সালে! তার মৃত্যুর পাচ বছর পর ১৯০১ সালে নোবেল পুরষ্কার দেয়া শুরু হলো! কিন্তু সেই নোবেল ডিনামাইট থেকে বেশী বিস্ফোরণ ঘটাবে তা তিনি আজ বেঁচে থাকলে নতুন ভাবে ভাবতেন!
সাহিত্যিক টলস্টয় সর্বযুগের সেরা সাহিত্যিক যার মহান সৃষ্টি War and Peace, Anna Karani, The death of Evan Elich ------ যারা না দেখেছেন বা পড়েছেন তারা জীবনে সাহিত্য জগতের কিছু উপভোগ করেন নাই! এসব মহান সৃষ্টি প্রায় বিশ্বে নাটক আকারে টেলিভিশন দেখিয়েছে নানান ভাষায়! সেই টলস্টয় ১০ বার নোবেল বিজয়ী তালিকা ভুক্ত হয়েও তাকে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় নাই, কারন তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষ ছিলেন! মোট কথা "নোবেল পুরষ্কার" মার্কিন আগ্রাসনের ডিনামাইট হয়ে ব্যবহার হচ্ছে! ১৯৭১ সালে বাঙালি লেখক তারাশঙ্কর নোবেল তালিকায় থেকে-ও পুরষ্কার পান নাই!
পাঠক, ভেনিজুয়েলা চারিদিকে ঘেরাও হয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজে! " প্রকৌশলী মাদুলা সরকার" তাদের পছন্দ না! তাই সেখানে মানবতা নাই, গনতন্ত্র নাই, সব অপছন্দ সরকারের দেশে একই মার্কিন গান!
এমন অবস্থায় "শান্তিতে নোবেল দেয়া হলো বিরোধী নেত্রী " মারিয়া কোরিনা মাচাদো" কে! তিনি বিদেশি হস্তক্ষেপ নিজ দেশে ডেকে আনা একজন নেত্রী! চীন রাশিয়া যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে ভেনিজুয়েলা কে রক্ষার করতে!
বাংলাদেশের "কুতুব দিয়া যে মিশাইল ডেস্ট্রয়ার জাহাজ" শুভেচছো সফরে পাঠিয়েছে মার্কিন সরকার তা দিয়ে চীনের বেইজিং পর্যন্ত যা ইচ্ছে তা থ্রো করতে পারবে! বঙ্গোপসাগরে কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা আসল লক্ষ্য বলে অনেকে মনে করেন!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।