নরসিংদী প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘীরে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের বিরুদ্ধে একই মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে দল থেকে মনোনয়ন না দিতে মনোনয়ন বোর্ডের নিকট আবেদন ও তাকে মৌখিক ভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষনা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বয়কট করলে স্লোগানে স্লোগানে সভাস্থল মুখরিত করে তুলা হয় এবং প্রতিহত করার ঘোষনা করেন ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীগন এবং উপজেলা,পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ সহ কয়েক হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা শনিবার (১১ অক্টোবর) রায়পুরা উপজেলার হাটুভাঙ্গা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টার ভবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত বিএনপির মতবিনিময় সভায় ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল তার কর্মচারী দিয়ে উক্ত সভা পন্ড করার পায়তারা করায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা সহ ২৪ ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে উত্তেজনা মুলক বক্তব্য দিয়ে প্রচন্ড সমলোচনার ঝড়তুলা হয়।
বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দৃস্যমান প্রতিপক্ষ দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে, অদৃশ্য মান প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব’। বিএনপিকে এ বার ক্ষমতায় আনতে ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারেক রহমানের নির্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি জাতীয় নেতা খাইরুল কবীর খোকন ও সেক্রেটারী আলহাজ্ব মনজুর এলাহীর নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবন্ধ হয়ে,মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থা আরো জোরদার করতে সকল নেতাকর্মীরা সোচ্ছার হওয়ার আহবান করেন। সকল বক্তাদের বক্তব্যে র্দীঘদিন পর রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন এর নেতৃত্বে ঐক্যবন্ধভাবে বিএনপির একটি সফল আলোচনা সভা করায় সকল নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলকে মনোনয়ন দেয় তাহলে রায়পুরাতে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় ভার কেন্দ্রীয় নেতাদের নিতে হবে। আশরাফ উদ্দিন মনোনয়ন পেয়ে গেছেন বলে এলাকায় প্রচার করছে। ছাগলকান্ডের আটককৃত আ.লীগের নেত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ লাকী সহ আওয়ামী লীগের সাথে গোপন আতাঁতের অভিযোগও আনা হয় এই নেতার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও বক্তারা আরও বলেন, জেলার মধ্যে সব চেয়ে রাজনীতিক মামলার আসামী মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ সহ রায়পুরা থেকে যারা মনোনয়ন চাচ্ছে তারা প্রত্যেকেই বিগত সময়ে জেল সহ অসংখ্য মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন অথচ আশরাফ উদ্দিন বকুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা নেই, তার রাজনৈতিক জীবনে এক মিনিটও জেল খাটেননি। আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচি বাদ দিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়। তাই বক্তারা তাকে রায়পুরা থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেন এবং তাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তাকে ছাড়া বাকী মনোনয়ন প্রত্যাশীগন রাজনীতিকভাবে অনেক সিনিয়র এবং বয়সে অনেক বড় বলে তারা ঘোষনা করেন। ত্যাগী পরিক্ষিত নেতাদেরকে বিএনপির মনোনয়ন দিলে এ আসন বিজয় করানো সম্ভব। আশরাফ উদ্দিন বকুল তারেক রহমান ও রুহুল কবীর রিজভীর নাম ভাংঙ্গীয়ে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রভাকান্ড ছড়াচ্ছে। নিজের দাপটে সে কারো তুয়াক্কা করে না, সে যে কোন মুল্যে এমপি হতে চাই,তার এমপি হতে হবেই,তার এমপি লাগবেই,আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে পুনবানের মাধ্যমে তার নিজের দল ভারী করে এমপি হতে মনগড়ামতে কাজ করছেন। বেতন ভুক্ত লোক দিয়ে কাজ করেন। তিনি বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে অবমুল্যায়ন করছেন।
বক্তারা যখন এসব বক্তব্য রাখছিলেন তখনই উপস্থিত নেতাকর্মীরা আশরাফ উদ্দিন বকুলের নাম উল্লেখ করে বারবার 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগান দিয়ে সভাস্থল মুখরিত করে তুলেন স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীগন। তারেক রহমান এর নির্দেশ অমান্য করে বিএনপিতে বিরোধ সৃষ্টি করে,নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী এমন নেতা আমরা দেখতে চাই না- কোন ষড় যন্ত্রকারীকে আর ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। ষড়যন্ত্রকারীকে যে কোন মুল্যে রায়পুরা থেকে প্রতিহত করা হবে। ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল ছাড়া বাকী ৬ জন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীগন সকল নেতাকর্মী নিয়ে ঐক্যবন্ধ হয়েছে।
নরসিংদী-৫ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি বার বার কারা বরণকারী নেতা মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল আহমেদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এন জামান,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেল, জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম বাদল।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন,নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ সাবেক ২ বারের মেয়র আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক ভূইয়া মোহন, সদস্য ইফতেখার আহমেদ ভূঁইয়া ইতু, জেলা বিএনপি নেতা শাহজান সরকার সুহাগ,উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম আপেল, সহসভাপতি আলকাছ উদ্দিন ভুইয়া ও সহসভাপতি মোমেন সরকার, উপজেলা যুবদল আহবায়ক আলফাজ উদ্দিন মিঠু ও সি: যুগ্ম আহবায়ক খালেদ হোসেন নাহিদ মোল্লা জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক সামসুজ্জামান সামু, মনিরুজ্জামান মৃধা, বাবুল মিয়া,জামান আহমেদ, মো: রাজ্জাক মিয়া,কামাল হোসেন ফকির, আখির ভুইয়া সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।