স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে স্থানীয় একটি সালিশি বৈঠক বানচাল করতে কুখ্যাত নজরুল ডাকাত বাহিনীর সদস্যদের সশস্ত্র হামলায় জগন্নাথপুর উপজেলার ৭নং সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের
ইসলামপুর ব্রাহ্মণগাও গ্রামের ১৩জন শান্তিপ্রিয় গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ই অক্টোবর) বেলা তিনটায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ হামলা চালায় তারা।
হামলায় সবচেয়ে বেশি আহত হন আতাউর রহমান (পিতা: আফিজুর রহমান)। তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করা হয়, যার ফলে তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। অন্যান্য আহতদের মধ্যে রয়েছেন:
আইনুদ্দিন (পিতা: নুর মিয়া)
আব্দুল হাসিম (পিতা: মনফর উল্লা) আহাদুর রহমান (পিতা: আফিজুর রহমান) মো: আবু তাহের (পিতা: মো: আব্দুল হক)
মো: বদর উদ্দিন (পিতা: মো: এখলাছুর রহমান)
মো: সুহান (পিতা: মো: আব্দুল হাসিম) বাবুল আহমদ (পিতা: হাজী মনোহর আলী)
আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত আতাউর রহমানসহ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে কোনও সালিশি বৈঠক না হওয়ায় স্থানীয় সমস্যাগুলো জমে উঠছিল। এমতাবস্থায়, গত ৯ই অক্টোবর গ্রামের আবুল বশর সাহেবের বাড়িতে একটি বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু নজরুল বাহিনীর সদস্যরা তাকে হুমকি দিয়ে সেই বৈঠকটি করতে বাধা দেয়।
পরের দিন, ১১ই অক্টোবর, গ্রামবাসী বিকল্প হিসেবে স্থানীয় মাদ্রাসার একটি কক্ষে বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানেই নজরুল বাহিনী হামলা চালায় এবং বৈঠক বানচাল করে দেয়।
আহতরা বলেন ডাকাত নজরুল বাহিনী এলাকায় জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত। গ্রামে সালিশি বৈঠক স্থায়ী হলে তাদের এই সব অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে এবং স্থানীয় মানুষ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এই ভয় থেকেই তারা যেকোনো মূল্যে বৈঠকটি হতে দিতে চায়নি বলে আমাদের উপর হামলা করে।
জানা যায় পূর্বেও
স্থানীয় প্রশাসন
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরা কয়েকবার এই গ্রামে সালিশি বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
এটি এলাকায় আইনের শাসন ও শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। গ্রামবাসী এখন নানা রকম আতংকের মধ্যে রয়েছেন। আশা করা যায়, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনবে এবং আহতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন,
শুনেছি তবে এখনো লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।