নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী-৫ আসনে রায়পুরায় ১৭বছরে কোন মামলা নেই ১দিনের জন্য জেলা খাটেনি তাকে বাদ দিয়ে দলের পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার জন্য হাইকমান্ডের কাছে বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জোর দাবী করেন।
আজ নরসিংদীর রায়পুরা পৌরসভা মাঠে রায়পুরা উপজেলা বিএনপির কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির বিশাল সমাবেশে এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফাইজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকনের সঞ্চালনায় নরসিংদী-৫ আসনের ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নেতৃত্বে উপজেলা,পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা বিশাল সমাবেশ ডেকে ১৭বছরে কোন মামলা নেই ১দিনের জন্য জেলা খাটেনি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলকে বাদ দিয়ে দলের পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদেরমধ্য থেকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার জন্য হাই কমান্ডের কাছে জোর দাবী করেন। বিএনপি প্রত্যাশীগন বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফ্যাসিট শেখ হাসিনার আমলে অসংখ্য মামলা হামলার শিকার কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জামাল আহমেদ চৌধুরী,জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদল সভাপতি বার বার কারা বরণকারী জনপ্রিয় নেতা মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএন জামান,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেল,জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম বাদল। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বার বার কারা বরণকারী জনপ্রিয় নেতা হাজী আব্দুর রহমান খোকন, ২ বারের সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. কাজী নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক ভুইয়া মোহন, জেলা বিএনপি নেতা শাহজান সরকার সুহাগ, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাদল ও যুব বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলকাছ উদ্দিন ভুইয়া, রায়পুরা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, রায়পুরা উপজেলা যুবদল আহবায়ক আলফাজ উদ্দীন মিঠু ও উপজেলা যুবদল সি: যুগ্ম আহবায়ক খালেদ হোসেন নাহিদ মোল্লা, নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও যুগ্ম স্পাদক সামসু উদ্দীন সামু, রায়পুরা পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব সুমন নেওয়াজ ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফুল,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আক্তার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো: মুছা মিয়া ও সেক্রেটারী মো: সুমন মিয়া, রায়পূরা পৌরসভা তাঁতি দলের সেক্রেটারী বাদল মিয়া, রায়পুরা পৌরসভা মৎস্যজীবিদল সাধারন সম্পাদক মো: জালাল মিয়া, বাবুল মিয়া,জামান আহমেদ, মো: রাজ্জাক মিয়া,কামাল হোসেন ফকির, আখির ভুইয়া,বাদল মিয়া,কামাল মিয়া,রাজিব আহমেদ সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল,তাঁতীদল,মহিলা দল,ওলামাদল সহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
ডবএনপির সমাবেশে বক্তারা বলেন, জিয়া পরিবার এ দেশের জন্য সব চেয়ে বেশী ত্যাগ শিকার করেছেন। শেখ হাসিনার আমলে ৩ বারের সাবেক সফল প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কুকু হয়রানী মামলা সহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আরাফাত রহমান কুকু নির্যাতনের কারনে মৃত্যু বরন করতে হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দৃস্যমান প্রতিপক্ষ দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে, অদৃশ্য মান প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব’। নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের বিএনপির ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দাবি করেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি।
রায়পুরায় একজন ব্যক্তি মিথ্যা অপ্রচার চালিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন তৈরি এবং রায়পুরা বিএনপির ঐক্য নষ্ট করতে করছেন। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন দলের মনোনয়ন নাকি তার পকেটে। ওই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। রাখাল রাজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া আদর্শের একটি দল। সেই দলের মনোনয়ন নাকি তিনি পকেটে নিয়ে ঘুরেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম ও আন্দোলনে তার কি কোন অবদান রয়েছে? ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জেল-জুলুম-নির্যাতন কি তিনি কখনও খেটেছেন? । তাই তিনি এমন আবল-তাবল কথা বলতে পারেন। আমরা তার কথায় বিচলিত হইব না। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক এবং তারেক রহমানের কর্মী। দলে পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে বিএনপির মনোনয়ন দিবেন। আমরা বিশ্বাস করি তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ বিজয়ী হবে। তাই আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ আছি। মিথ্যা প্রভাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না। দলের প্রধান তারেক রহমান অবশ্যই যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবেন। এর আগে মনোনয়ন নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর দল যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা তার পক্ষে নির্বাচন করে দলকে বিজয়ী করবো (ইনশাআল্লাহ)। তারেক রহমানের নির্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি জাতীয় নেতা খাইরুল কবীর খোকন ও সেক্রেটারী আলহাজ্ব মনজুর এলাহীর নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবন্ধ হয়ে,মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থা আরো জোরদার করতে সকল নেতাকর্মীরা সোচ্ছার হওয়ার আহবান করেন। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে মতবিনিময় সভা বিকেলে শুরু হওয়ার আগেই দুপুর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থনে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন রং-বেরঙের ফেস্টুন, ব্যানার ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মতবিনিময় সভায় আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মতবিনিময় সভাস্থল কানা-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং জনসভায় পরিণত হয়। বক্তারা যখন এসব বক্তব্য রাখছিলেন তখনই উপস্থিত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আশরাফ উদ্দিন বকুলের নাম উল্লেখ করে বারবার 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগান দিয়ে সভাস্থল মুখরিত করে তুলেন।