রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাব এর অফিস উদ্বোধন মাটি – মা প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক সাহিত্য রসগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুনতারা’র প্রতিষ্ঠাতা সংবর্ধিত সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দ্বীপশিখা পদক পেলেন জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান শাহিনুর রহমান কারো কাছে নিজের সমস্যা বলার আগেই ভাবুন গঙ্গা–পদ্মার ন্যায্য হিস্যা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশাল গণসমাবেশ হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে ধানের শীষে ভোট চান আনিসুল হক ট্রাভেল এজেন্সির প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি, আটাব, বায়রা ও হাবের মানসিক চাপদাতা: জীবন্ত লাশ বানানোর ভয়ঙ্কর হত্যাকারী সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের আমানতের খেয়ানত হবেনা- এডভোকেট ইয়াসীন খান সিডর আঘাতের ১৮ বছর, ভেড়িবাঁধের অভাবে আজও দুর্ভোগে, ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ও বেড়িবাঁধের দাবি

সেনাপ্রধান কে নিয়ে টানাটানি!

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪২ Time View

লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

আমাদের দেশে যা কিছু এসময় ঘটছে তার জন্য বাঙালির হাটে-বাজারে মাঠে ঘাটে অফিসে চায়ের দোকানে সেনাপ্রধান কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন আবার কেউ কেউ উল্টো বলছেন! দেশে যা কিছু execute হয় সব কিছুই সরকার প্রধান ও তার পরিষদ বর্গের কৃতিত্ব হোক সঠিক বা ভুল সিদ্ধান্ত! সেই সিদ্ধান্তে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সই করতে বাধ্য, মন্ত্রী পরিষদ শাসিত সরকারের এইটাই নিয়ম! দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও তাদের সেনাপ্রধান সরকারের কর্মচারী, তিনি সম্মতি দিতে বা মেনে নিতে বাধ্য! ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের মুজিব সরকারের সময় সেনাবাহিনীর কোন মতামত নেয়া হতো না! ততকালীন সেনাপ্রধান নিজ মুখে বলেছেন, “তিন মাস ঘুরে যখন বঙ্গবন্ধুর সাথে ৩২ নাম্বার ধানমন্ডি সাক্ষাৎ মিললো বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ , ৯ পাতার দরখাস্ত (information) নিয়ে সামনে বসলাম, আমার কাগজগুলো তিনি এক পাতা পড়ে বললেন,” ওরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে আমাকে হত্যা করার জন্য, এই খবর নিয়ে এসেছো, সরকার প্রধান কাগজগুলো ছিড়ে এপিএস মুহিত কে ডেকে ওয়াস্ট বক্সে ফেলতে বললেন এবং আমাকে বললেন, যাও কাজ করো গিয়ে, সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখো, এখন ও সেনাবাহিনী কে সাজানো অনেক বাকী! ”
১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সরকার প্রধানরা তিন বাহিনী প্রধান কে ডেকে পরামর্শ করেন ঐ ভীতি থেকে, “কি জানি কবে যেন ক্ষমতা নিয়ে নেয়!”
মেজর জেনারেল জিয়া দেশোদ্রোহীতার অভিযোগে যতজন কে দ্রুত সময় ফাঁসি তে ঝুলিয়েছেন তা সম্ভব হয়েছে তিনি ছিলেন দেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান ও সেনা প্রধান! ক্যাঙারু কোর্ট ও সাজিয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে আগত “বিচারপতি আবদুর রহমান” সম্ভাবত নামটা, তিনি মুক্তি যুদ্ধ পক্ষের শক্তি ছিলেন না!
এরশাদ সাহেব ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, অতএব জিয়া হত্যা বিচারের নামে কাদের ঝুলাতে হবে তা তিনি নির্ধারণ করতে বেগ পান নাই, কারন তিনিও রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তা ছিলেন পর্দার আড়ালে, বিচারপতি সাত্তারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সাফা করেছিলেন মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের দেশ প্রেমিক সেনা অফিসারদের!

ডঃ ইউনূস সাহেব দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষিত আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিচিত মুখ! তার উপর মানুষ আস্হা রেখেছিলো ভাত কাপড় বাসস্থান পাবে, তিনি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মার্কিন ব্যবস্হা পত্রে এসেছেন কিনা তা পরের চ্যাপটারন! মানুষের আরও আশা ছিলো ভারত থেকে দূরে থাকবেন, ইলিশ মাছ ভারতে যাবে না, আদানির বিদ্যুৎ উচ্চ মূল্যে কিনবেন না, রাজনৈতিক দলীয় সরকারের সব অবৈধ চুক্তি বাতিল হবে, আমরা চাকুরী পাবো কারন ভারতের লোক আর চাকুরী পাবে না, ২৬ লক্ষ ভারতীয় চাকুরী জীবি জেলে যাবে! বাংলাদেশের রিজার্ভ ভারত সমান হয়ে যাবে কারন দলীয় সরকারের মত বিদেশে টাকা পাচার হবে না!
১/১১ মঈনউদ্দীন ফখরুদ্দিন সরকার থেকেও কঠোর হবেন ডঃ ইউনূসের সরকার! সেই সরকার ছিলো বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র সচিবের চিঠি দিয়ে সেনা ডেকে আওয়ামী নিধন উদ্দেশ্য! তারা এলেন কিন্তু শুধু আওয়ামী নিধন নয়, দুর্নীতি নিধনে নেমে গেলেন! চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিন সরকার! ডঃ ইউনূস সরকারের কাছে মানুষ এমন আশা করেছিলেন যে আর মানুষ দলীয় সরকারের নাম মুখে আনবে না! আগের সরকার ভালোছিলো তা শুনতে হবে খেটে খাওয়া মানুষের মুখে তা কেউ ভাবে না-ই!

প্রিয় পাঠক, আসলে কি তা হলো, একটা উদাহরণ দেই, তিনশো টাকা কেজি ইলিশ খাওয়ার আশার জনগনের যখন বিগত সরকারের আমল থেকে দ্বিগুণ দামে ইলিশ খেতে হয়, এবং দ্বিগুণ পরিমান ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়, তার প্রতি উত্তরে পরিবেশ উপদেষ্টা যখন বলেন, “ইলিশ যাচ্ছে তার বিনিময়ে মোটা অংকের রপ্তানি অর্থ এদেশে ফিরে আসছে বলে মুরালি হাসি দেন তখন মনে হয়, ” “হায়রে বাঙালি নিজের কপাল নিজে পোড়ালি!

করিডর দেয়া হবে না, সেনা প্রধান
প্রধান উপদেষ্টাকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোবাল সেনা প্রধানের সাথে কথা বলেছেন, হাসিনাকে মোদি বাবু ফিরিয়ে দিচ্ছেন তার আগের অবস্থানে, ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রীন সিগনাল দিয়েছেন, সেনাপ্রধান দরজায় দরজায় ঘুরেছেন ৫৬ জেনারেলের বিচার পাবলিক আদালতে না করার জন্য, এমন সব ভিডিও যখন কলকাতা ডায়লগ বা নবনীতা ম্যাডাম সুন্দর করে বলেন তখন মনে হয় এদেশের নির্বাহী ডঃ ইউনূস নয়, সেনা প্রধান! অহেতুক এমন ভাবে কি একটা সরকার কে তিন ভাগা করা যায়! জনগনকে মিস লীড মিস গাইড করা উচিত?
সরকার প্রধান যা করে যাচ্ছেন তাতে অবশ্যই মহামান্য প্রেসিডেন্টের সম্মতি আছে এবং সেনাবাহিনীর প্রধান সম্মতি দিতে বাধ্য হোক ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়! ৩২ নাম্বার ভাঙা, গোপালগঞ্জ massacred, মার্কিন ডেস্ট্রয়ার শীপ কুতুবদিয়া ভিড়া, করিডর দেয়া, এমনি যত পদক্ষেপ সবই সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান এবং সেনা প্রধানের সম্মতি বিরুদ্ধে হতে পারে না! তাহলে ভারতীয় ভিডিও দেখে এদেশের কিছু লোক বাংলাদেশের এই “তিন প্রধান” কে আলাদা আলাদা পথ ও মতের লোক বলে প্রচার করেন কেন? মিস গাইড করেন কেন এসব ভিডিও বানায়ে! একজন ভিডিও তে বলেছেন, “জেনারেলদের বিচার হচ্ছে, সেনাপ্রধান ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারেন যেহেতু তার কথা শোনা হয় নাই, ডঃ ইউনূস কোন সাহসে ইতালি সফরে যান? এসব কথা বিদেশে সরকার বিরোধীদের অহেতুক উস্কানো হয়! কারন what Dr. Yunus knows you people’s don’t know better than that of him!

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন! মনে রাখবেন, আমেরিকা তার ” ডিপ স্টেট” ডিসিশনের বাইরে যায় না! ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় গনতান্ত্রিক দেশ, ইংল্যান্ড প্রথম, পার্লামেন্ট অনুমোদন ছাড়া কিছু করে না, রাষ্ট্রের তিনটা অঙ্গ, সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান, প্রতিরক্ষা প্রধান ভিন্ন মতাবলম্বী হয় না!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102