
মোঃ রায়হান পারভেজ নয়ন
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলায় ভাতিজি বউয়ের লোহার রডের আঘাতে চাচা শ্বশুরের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা (নং-০৩/১৭৮) দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে এজাহারনামীয় আসামিরা পলাতক ছিল।
অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ (রংপুর) ও র্যাব-১১ (কুমিল্লা)-এর যৌথ অভিযানে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী মডেল থানার কালীবাজার এলাকা থেকে ওই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় মূল দুই আসামি— মোছা. নিথি বেগম (৩৫) ও তাঁর স্বামী মো. সবুর আলী (৪০)—কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১৩, রংপুর-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বিপ্লব কুমার গোস্বামী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২ অক্টোবর ভোররাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে শাহিনা বেগম ও বিথি বেগমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় চাচা শ্বশুর আব্দুস সাত্তার (৭৫) মারামারি থামাতে গেলে তাঁর ভাতিজি বউ মোছা. নিথি আক্তার (৩৫) লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুস সাত্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি ৭ অক্টোবর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুর পরদিনই নিহতের ছেলে আব্দুল মাজেদ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাবের সমন্বিত ও গোয়েন্দা তৎপরতায় অবশেষে মূল আসামি দম্পতিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তাদের ডিমলা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।