স্টাফ রিপোর্টার:
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাউল বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জগন্নাথপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৫ জন খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৫টি পয়েন্টের জন্য মোট ৬৯টি আবেদন জমা পড়ে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন। খাদ্যবান্ধব উপজেলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বরকত উল্লাহ সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ইউএনওর কার্যালয়ে ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। ১৫ টি পয়েন্টের আবেদনকারীদের পৃথক পৃথক ভাবে ডেকে নিয়ে সকলের সম্মতিক্রমে ১১টি পয়েন্টে লটারীর মাধ্যমে এ ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় এবং ৩ টি পয়েন্টে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের রিপোর্ট ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সুপারিশে এবং ১ টি পয়েন্টে একক আবেদনকারী থাকায় তাদেরকে মনোনীত করা হয়। লটারীর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা হলেন কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে হাবিবুর রহমান তামিম। পাটলী ইউনিয়নের পাটলী ইউপি মার্কেটে মারজান আহমদ চৌধুরী, রসুলগঞ্জ বাজারে মোঃ আনোয়ার হোসেন।
মীরপুর ইউনিয়নের মীরপুর বাজারে মাহবুবুল আলম মাজেদ। চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া বাজারে পাবেল মিয়া, বাউধরন বাজারে মোঃ নুরুল আমীন। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজারে রুবেল মিয়া।
সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারে সৈয়দ আব্দুল আলী, শাহারপাড়া বাজারে আজিজুর রহমান বকুল।
পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে সামস উদ্দিন হামজা, সাতা পয়েন্টে মোঃ আজাদ হোসেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সুপারিশে মিরপুর ইউনিয়নের কেউনবাড়ি বাজারে কাওছার আহমদ রুবেল, কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা পয়েন্ট আবু সুফিয়ান ও আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেচী বাজারে চাঁন মিয়া ডিলার মনোনীত হন। তাছাড়া রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল বাজারে একক আবেদন থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুহেল মিয়া ডিলার মনোনীত হন। চিলাউড়া বাজারের সুবরাজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী পাবেল মিয়া জানান, আমরা আবেদনকারীদের উপস্থিততে খাদ্যবান্ধব নিয়োগের লটারী দেয়া হয়। এখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি। শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ডিলারশীপ পেয়েছেন। রানীগঞ্জ বাজারের রুবেল ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর রুবেল মিয়া জানান, লটারীর মাধ্যমে আমি ডিলার নিয়োগ পেয়েছি। ডিলার নিয়োগে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য জগন্নাথপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমদ জানান, তদন্ত কার্যক্রম শেষে যাদের আবেদনের কাগজপত্র সঠিক থাকায় লটারীর মাধ্যমে ১১জন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও উপজেলা কমিটির সুপারিশে ৩জন এবং একক আবেদন থাকায় ১জন সহ ১৫ জনকে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বরকত উল্লাহ জানান, পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আবেদনকারীর আবেদনপত্র ও সকল প্রয়োজনীয় কাগজাদি যাচাই বাছাই করা হয়। লটারীর মাধ্যমে ১১টি, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও উপজেলা কমিটির সুপারিশে ৩টি এবং একক আবেদন থাকায় ১ টিসহ ১৫ জনকে ডিলার মনোনীত করা হয়েছে।