কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার একটি সড়কের নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট-খোয়া ও মাটি মিশিয়ে বালু ব্যবহারের অভিযোগে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন ও ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ সম্পন্ন না করার জন্য ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে।
কেন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এর আগে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকালে দেবিদ্বার পৌরসভার সরকারি হাসপাতালের সংলগ্ন রোডে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. ফয়সাল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দেবিদ্বার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুবেল জানা গেছে, কোভিড-১৯ প্রকল্প আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেবিদ্বার পৌরসভার সরকারি হাসপাতালসংলগ্ন রোড থেকে চালাগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৩৬৩ মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। দুটি পর্যায়ে কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়।
প্রথম পার্টের ১৮০ মিটার সড়কের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯৮ টাকা। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ট্রেডভ্যালির ঠিকাদারি এসএম মনিরুল হক কাজটি পেলে দেবিদ্বারের ঠিকাদার বিএনপি নেতা মো. জামিল উদ্দিন, একটি পার্ট ও অন্য পার্টটি সাইফুল ইসলাম, সুমন মিয়া ও নাজমুল হাসান নাহিদ সহ আরও কয়েকজন কাজটি কিনে নেন।
কিন্তু কাজটি চলাকালীন নিম্নমানের ইট-খোয়া ও মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। নিম্নমানের কাজ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে এলাকাবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে বিষয়টি প্রকাশ করেন। এরপর ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নেয় প্রশাসন।
পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেন।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. ফয়সল উদ্দিন বলেন, “সড়কটি আমি পরিদর্শন করেছি, নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এখানে দেখা গেছে, একজন ঠিকাদার কাজ পায়, তিনি অন্য ঠিকাদারের কাছে কাজ সাবকন্ট্রাক্ট দিয়ে দেন, এটা আমাদের দেশের জন্য ভালো নয়। আমাদের নতুন প্রকল্পগুলোয় যাতে এমন না হয়, আমি কাজটি পর্যবেক্ষণ করছি। কোনোরূপ অনিয়মসহ সড়কে নিম্নমানের কিছু ব্যবহারের করতে দেওয়া হবে না।”