
কলমেঃ পত্রলেখা ঘোষ
পরিবারগুলি আগে বড় ছিল
সবার একটা ঘর,
প্রাণের বাঁধনে যুক্ত সকলে
ছিল না আত্ম পর।
জ্যাঠা জেঠি কাকা ভরা সংসার
ভেদ নেই কাকি-মাতে;
আদর শাসন সবাই করতো
বিরক্তি নেই তাতে।
সকলের সাথে মিলে মিশে চলা
এক ই খাবার পাতে,
আড্ডা গল্পে কাটতো জীবন
ডালে ঝোলে আলুভাতে।
একের ঘরের ভালো তরকারী
আসতো অন্য ঘরে-
শিশু অন্যায় করলে সবাই
বোঝাতো স্নেহের স্বরে।
কারোর শরীর খারাপ থাকলে
সকলে করতো সেবা,
কোনো ভাবে কেউ বুঝবে না কভু
কে আপন পর কেবা!
পরের বাড়িতে নির্ভয়ে শিশু
খেলতে যেতো তো রোজ-
একদিন সেথা খেলতে না গেলে
সবাই নিতেন খোঁজ।
পাশের বাড়িতে ফল ফুল হলে
যাবেই অন্য বাড়ি,
অনুষ্ঠানেতে সবাই হাজির
দায়িত্ব নেবে কাড়ি।
মনের প্রসার সকলের ছিল
খোঁজ নিত সব এসে-
বিবাদ বাঁধলে মিটে গেলে শেষে
বলতো যে কথা হেসে।
এ বাড়ির লোক ও বাড়িতে গিয়ে
আড্ডা মারতো রোজ,
এখন মানুষ বড় কৃত্রিম
কেবা নেয় কার খোঁজ।
এ যুগেতে দেখি কেউ কারো নয়
নিজেরটা বোঝে সবে-
সুখপাখিটা যে তবুও অধরা
জানি না ধরবে কবে!