কুসুমের আলো
হেমন্ত নিকেতনে এখনো শিশিরের দোলা
রকমারি আলোতে তন্ত্র দেবীর মেলা।
জান্নাতের বাগানে সৎ শিশুর বিচরণ
আনন্দ আহাল্লাদে ভরে যায় কচি মন।
যে হৃদে নেই কোনো নিশির কালো
সেই তো শ্যামার টুকরো টুকরো আলো!
রবির কিরণ ভরুক গাজার বাগান
নির্ভয়ে বাড়ুক এ বিশ্বমন্দির প্রাঙ্গণ।
স্মৃতির সরণিতে দেখি কাঁচা মুখ
উল্লাসের তরীতে ভরপুর শূণ্য বুক।
ঝিঙে ফুল ফুটুক বিবেকের মাচানে
বিকাশ আসে ডাফোডিলের বাগানে।
অন্ধ জনে দেহ আলো
যৌবনের মধুকর
সর্বদা হুলবিদ্ধ নরম আকাশের মনে!
মায়ার ছায়া। ফোঁটা ফোঁটাওষুধে,
নতুন জীবনের পালন।
রকমারী চিৎকার রেলের কামরা
কত স্বপ্ন আঁকা…
একটি করুন সুর,
মন হয় ব্যথাতুর।
বিভাবরীর জমাট ভালোবাসা
থেকে একটু আলোর স্ফুলিঙ্গ।
অভরা টিনের পাত্র
চেনা যায় মনের ধারাপাত।
ডুবলো আলো
উলঙ্গ দেহে
ছুটে চলে
এক বদ্ধ পাগল
একদল শিশু
পিছন পিছন
করে ধাওয়া কালো চাদর নিয়ে
বাকরুদ্ধ জনতা!
প্রাণ বাঁচাতে
ঝাঁপ দিল
চোরা বালির চরে!
এবার বুঝি
শেষ রক্ষা হলো...
গলা টিপে
আলিঙ্গন করে!
প্রাণের অস্তিত্ব টুকু
বিলীন হয়ে যায়
ওই দূরে! যখন ডোবে দিনের আলো।