মোঃ রায়হান পারভেজ নয়ন
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন যুব জামায়াতের উদ্যোগে এক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ মাগরিব ইউনিয়নের স্থানীয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় নেতা ও কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা আমির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুস সাওার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মজিবুর রহমান, উপজেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক কাজী হাবিবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি কাজী রোকনুজ্জামান বকুল এবং উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান সাজু।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ মোকছেদুল ইসলাম (খোরশেদ)।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ আব্দুস সামার তাঁর বক্তব্যে বলেন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানাচ্ছে। ইসলামী আদর্শ ও নৈতিকতার আলোকে সমাজ পরিবর্তনের যে দৃষ্টান্ত জামায়াত স্থাপন করেছে, তা আজ সারা দেশে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণমুখী সমাজ গঠনের একমাত্র পথ জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই সম্ভব।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, সাবেক সেক্রেটারি মাসুদ রানা, মোঃ মিলিন ইসলাম, মোঃ মোস্তাসিন বিল্লাহ, মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ মোজাফফর হোসেনসহ গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতা-কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেজাউল করিম বলেন
আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের আদর্শ, নীতি ও কর্মধারা আমাদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান, সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমাদের মুগ্ধ করেছে। তাই আমরা আজ গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করছি। ইনশাআল্লাহ, ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করব।
বক্তারা বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথে যুব সমাজের অংশগ্রহণই দেশের ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। ইসলামভিত্তিক সমাজ গঠনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।
সমাবেশে উপস্থিত জনগণ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বক্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করেন এবং অনুষ্ঠানস্থল ইসলামী স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।