স্রষ্টার তরে নত শির করি
একই গর্ভে নানান বৃক্ষ
নানান ফুল ও ফল।
একই গর্ভে ভিন্নস্তরে,
নানান স্বাদে,নানান গুণবল।
অজানা রইল সীমাহীন বল,
বল কে দিল রে নানান রূপ ফল।
জগত জুড়িয়া মানব লাগিয়া,
সৃষ্টির সকল কূল।
সকলে শক্তিশালী মানব দুর্বল,
তবুও ইনসান আশরাফুল।
নহে নত শির, হও তুমি বীর,
তুমি যে বীর পালোয়ান।
দো- কুল বাঁচাতে হও তুমি,
তুমি হও মহিয়ান।
সকলে সৃষ্টি করেছেন যিনি-
এক স্রষ্টার তরে, সবে নত শির করি।
সৃষ্টি হয়ে সৃষ্টির তরে-
নহে নত শির করি।
বিদ্রোহী কবি
বিদ্রোহী কবি,
তুমি নেই ভুবনের মাঝে।
তবুও তোমার ছবি,
তোমার সুর বাজে।
বিদ্রোহী কবি,
তোমার চেতনার আগুন জ্বলে অন্তরে।
তোমার শব্দের ঝংকার বাজে-
শত শত তরুন তরুনীর সুরে।
বিদ্রোহী কবি,
সাম্য দ্রোহ প্রেমের,
একেছো রং তুলি,
কেমনে তোমায় ভুলি?
ভেঙ্গেছো শত দ্বার,
নিপীড়নের কণ্ঠস্বর।
তুমি বলেছ বারংবার,
সাম্য দ্রোহ, প্রেম- বাঁচার ভরসার।
তোমার গর্জনে আজও
শত শত বুকের হৃদয়ে-
তোমার গান তোমার বাণী,
বাজে বাংলার বিজয়ে।
তুমি প্রেমের কবি, বেদনার সবি,
প্রিয় কবি কাজী নজরুল।
বিদ্রোহ কবি, জাতীয় কবি,
তুমি বাংলার বুলবুল।
প্রকৃত বন্ধু
ধন সম্পদ সবে আছে যার,
নেই বন্ধুর অভাব।
বিপদে সরে দাঁড়ায় -
লোভী বন্ধুর স্বভাব।
এক ব্যাগ রক্তের টানে,
ছুটে বন্ধু দ্বারে দ্বারে।
হাজারো ঘৃণার মাঝে -
ফুটে উঠে ফুল,
গরীব বলে করি ঘৃণা
করি মস্ত ভুল।
বিপদে যে হাতটি ধরে,
সেই-তো প্রকৃত বন্ধু।
মানুষ বলে দেই না দাম,
মস্ত ভুল করি কিন্তু।
জানতে ইচ্ছে করে
একদিন আমি মিশে যাবো,
মাটির মানুষ মাটি হব।
জানতে ইচ্ছে করে?
মাটিতে না রেখে,
কেমনে দাহ পুড়ে।
এ কেমন ভালোবাসায়,
আগলে রাখলে মোরে।
খাঁচা রইলো পরে,
পাখি গেল উড়ে।
সব আপন জনের
জ্বালানি খোঁচা দিয়ে-
হুলে ঘুতে মারে,
জানতে ইচ্ছে করে?
এ অনল সহে না দেহ,
মায়া মমতা করে না কেহ।
মানুষ মরে রুহ তো না,
অনলে পুড়ে যেজন,
সেই বুঝে তার যন্ত্রণা।
এ কেমন ভালোবাসা,
আগলে রাখলে মোরে।
আমার জানতে ইচ্ছে করে?
বর্ষার রুপ
কালো মেঘে ছেঁয়ে গেলো,আকাশের ঐ পানে।
বিদ্যুৎ চমকায় মেঘ গর্জে,বৃষ্টির ঐ পানে।
রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি পড়ে,টিনের চালায় বাজ না বাজে।
মুশল ধারায় বৃষ্টি পড়ে,ঢেউয়ে ঢেউয়ে খেলছে আজে।
রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি পড়ে,হঠাৎ থামে হঠাৎ ঝড়ে।
এতো বর্ষার রুপ,হৃদয়ে প্রেমে দিল ডুব।
বৃষ্টিতে পথ ঘাট-মাঠ থৈথৈ।
খাল বিলে মাছ মারে,-করে হৈ চৈ।
পথে খন্দক পিচ্ছল,কাঁদা মাটি যুক্ত।
বর্ষার জলে সজীবতায়,হাসে প্রকৃতি।
মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলে মুগ্ধ।
ঘুগরি ডাকে ঝিঝি ঝি,
ব্যাঙডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাং।
দক্ষিনা কালো মেঘে বিজলি চমকায়,
হঠাৎ গা থমকে দাঁড়ায়।
বাড়ির পাশে দোলা যেন,সাগরের রূপ।
চালের বৃষ্টিতে যেন,
উঠানে সাগরের ঢেউ দিলো ডুব।
বাবুলস ফুলিয়ে চলে, হলদে ব্যাঙ আর কোলা ব্যাঙ।
ঘোৎ ঘাৎ ডাক পাড়ে,একে উপরে মারে ল্যাং।
বৃষ্টির মাঝে খেলা করে,সবার মন নেয় কেড়ে।
কালার ভুরায় দোলার মাঝে,মাঝি সাজে বৈঠা নিয়ে। আনন্দে মাতি সবে,গায়ের ছেলে মেয়ে।
অন্যের দোষ খুঁজি
নিজের ভুল গুলো
ফুল দিয়ে পুজি।
অন্যের দোষ গুলো,
শুধু শুধু খুঁজি।
মিথ্যা লোভ, হিংসা,
অসাধুর মূল অর্থ।
কার কি যায় যাক?
শুধু ভাবে স্বার্থ।
ক্ষনিকের আনন্দ হাসি,
পেতে মনে সুখ।
পিছু পা হইনা,
পুরাতে মোরা এই বুক।
পরিচয়
মানুষ রূপে জন্ম সবার
এইতো পরিচয়।
তবে কেন আজ সমাজে
দেওয়াল রয়ে যায়।
রিক্ত হস্তে জন্ম সবার,
আসিলাম এ ভবে।
জন্ম হোক যথা তথা
পরিচয় করমে তবে।
বরতমান যুগে নিত্য নতুন সাজে
নিজের রক্ত ভুলে।
এ কোন সমাজ-
পেলাম অবশেষে?
একই রক্ত বইছে সবার,
থাকতে চাই রং বর্ণ মিশে,
যুদ্ধ বিরোধ চাই না মোরা
সোনার বাংলা দেশে।
হে আল্লাহ করিও দান
মনে জানে পাপ
তুমি জানো সব।
করিও আমায় মাফ,
তুমি যে সৃষ্টির রব।
করছি কত জেনে না বুঝে,
অন্যায় জুলুম মাটির সাথে।
করিও ক্ষমা এ অধমরে,
তুমি ছাড়া কে আর আছে?
হে আল্লাহ আমাকে,
মমিন গড়ে তুলে নিও।
মহা- বিপদের কঠিন দিনে,
তুমি আমায় পার করিও।
হে আল্লাহ আমার
মৃত্যুর সময় করিও দান।
যেন ঘুমন্ত শিশুর সমান।
হে আল্লাহ আমার কণ্ঠে দিও,
কালেমার বাণী।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
যা ইসলাম জয়ের ধ্বনি,
যা মমিনের শ্রেষ্ঠ বাণী।
হই সাবধান
কিছু কিছু মানুষের-
অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে
সকলে হও সাবধান।
যত দূর শক্তি আঁকড়ে ধরো,
করতে সমাধান।
অন্যায়কে আশ্রয় দিয়ে,
নিরবে চেয়ে আছি
তবুও হলাম আমি,
সমান দোষে দোষী।
এদের অভিশাপে,
হয়-তো একদিন।
হারিয়ে যাবে সুপুরুষতা-
সুখ পাবে না কোথাও সে জন।
তাদের ওপর নির্ভরে
হয়ে পড়েছি মোরা-
স্বচ্ছতা দুর্বল।
সমান অধিকারে এগিয়ে
তাই তো আজ-
মনের অবস্থা বেহাল।