লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
প্রথম দেখায় ই আপনি মুসলিম ভাববেন, কোন রকম লেবাসে কমতি নাই, কোন সাহসে তাকে চোর গুন্ডা মিথ্যাবাদী পর সম্পদ লুন্ঠন কারী, অন্যের জমি গোপনে রেকর্ড কারী, ঘুষ দিয়ে নোটীশ গায়েব কারী, ভাতের কৃপনতায় আপন মেয়ে সন্তান কে অপাত্রে পাত্রস্হ কারী, মেয়ে, পত্নী কে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো ব্যক্তি
ভাবতেই পারবেন না!
কিন্ত ভিতরটা তার ইবলিশের অবিকল ! মুসলমান কিন্ত ইসলাম নাই কথাটা বলেছেন এশিয়ার অনেক বড় জ্ঞানী ও ইসলামি চিন্তাবিদ ডঃ চৌধুরী মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ডিন।
প্রিয় পাঠক, নিশ্চয়ই আল্লাহ গুনাহ ক্ষমাকারী!, তিনি
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু - সূরা যুমার ৩৯, আয়াত - ৫৩.
সূরা নিসা, সূরা হিজর শত জায়গায় তিনি ওয়াদা করেছেন "যতদিন ক্ষমা প্রার্থনা করবে ততদিন মাফ করতে থাকবো "!
" তুমি পৃথিবী সমান গুনাহ নিয়ে এসো আমি ক্ষমা নিয়ে হাজির থাকবো " তির জিমি ৩৫৪০.
আসলে গুনাহ প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত।
১. হক্কুল্লাহ, আল্লাহর হক নষ্ট করা, যা আল্লাহ এতক্ষণ বলেছেন ক্ষমা করার কথা!
২. হক্কুল ইবাদ, বান্দার হক, সৃষ্টির হক নষ্ট করা।
আমি কোন এক কুরআনের আয়াতে পড়েছি, "আল্লাহ বলেছেন, হে বান্দা তুমি আমার আকাশ সমান পাপ করে যদি হাত তুলে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অশ্রু সিক্ত হও আমি তোমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবো কিন্ত তুমি আমার বান্দার কোন গুনাহ করলে, অপরাধ করলে, সীমা লঙ্ঘন করলে আমি স্বয়ং আল্লাহ সে গুনাহ মাফ করার অধিকার রাখি না যতক্ষণ সে তোমাকে মাফ না করবে"!
প্রিয় পাঠক, দেখতে মুসলমান ইসলাম নাই অর্থ হলো আমরা আল্লাহ কে ফাঁকি দিতে ওস্তাদ। মসজিদে ঢুকি,
নামাজী, উপোস থাকি, রোজদার, টাকা হলে হজ্বে যাই, হাজ্বী অর্থাৎ শো সব কয়টা করি আমল ইহসান আদল তাকওয়াপূর্ণ জীবনের ধারে কাছে নাই।
অনয়ের গিবত, অন্যকে অপমান, অন্যকে গালি, অন্যের অর্থ সম্পদ কেড়ে নেই, অনয়ের সন্মানে আঘাত, মনে আঘাত, উপকারীর উপকার অস্বীকার, হেয় প্রতিপন্ন, কাউকে ধোকা দেয়া, ফাঁকি দেয়া, পিতামাতার দায়িত্ব পালন না করা, অন্যায় প্রভাব খাটানো, বিধবা এতিম দুর্বল বৃদ্ধের প্রতি শক্তি প্রয়োগ, অপমান, ওজনে কম দেয়া, কটু কথা বলা,মনে আঘাত লেগে বদদোয়া দেয়ার মত কষ্ট দেয়া, অজানায় ভেজাল দেয়া, জায়গা জমি ভুল ভাবে অন্যায় ভাবে কৌশলে অধিগ্রহণ, খাদ্য বস্ত্র দিয়া লালন পালন ওয়ালা মা বাবা বা পালকে দায়িত্ব পালন না করা, রোগ-শোকের খোজ না করা কঠোর থেকে কঠোর পাপ যা সৃষ্টি কর্তা, কুরআনে আল্লাহ বিভিন্ন আয়াতে ক্ষমা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন যতক্ষণ না ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ক্ষমা করবেন!
আল্লাহর এবাদত সঠিক ভাবে এক কেন্দ্রীক মনে করা খুব ই কঠিন থেকে কঠিনতম কিন্ত বান্দার /সৃষ্টির হক চেষ্টা করলে পাপ মুক্ত থাকা যায়। আমরা ঘুষ তার কাছ থেকে খাই, চুরি তার পয়সা করি, আঘাত তাকেই দেই, তার উপকার অস্বীকার করি, তার জমি দখল করি, তাকে ধর্ষন করি, তার ভিটা ঘর জোর করে দখল করি,তাকে কৌশলে ফেলি তার সম্পদ কেড়ে নিতে। তার দেনা পরিশোধ না করে গায়ে বাতাস লাগাই, আবার আমি বেষ্ট ধার্মিক, বেষ্ট আল্লাহর কাছাকাছির লোক কারন রোজা নামাজ হজ্ব পাশাপাশি চালাচ্ছি তো, দুটো পাশাপাশি চলে না তা কোন নায়েবে রাসুল শিখান না!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালবাসেন।
বান্দার অপরাধ করে থাকলে আপনি জাহান্নামের হাবিয়ার বাসিন্দা নিশ্চিত থাকুন। লোক চক্ষু ধূলা দেয়া যায় সৃষ্টি কর্তার চক্ষুতে আপনি রেকর্ড হয়ে আছেন !