নিকেশ বৈদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী প্রাথমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষার্থী শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে লোককবি রাধারমণ দত্তের গানের প্রতিযোগিতা “ভাইবে রাধারমণ বলে” ২০২৫ উদ্বোধন হয়েছে। এ অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ছিল জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ ও পরিচালনায় ছিল জগন্নাথপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ও রাধারমণ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র এর আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বরকত উল্লাহ।
৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের রাধাররমণ হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বরকত উল্লাহ। শিক্ষক অনন্ত পালের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রাধারমণ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের আহবায়ক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব জগন্নাথপুর স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নুর, শিল্পকলা একাডেমির অধ্যক্ষ পরিতোষ চক্রবর্তী শিবু, পৌর প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামী, শিক্ষক মোশারফ হোসেন প্রমূখ।
এ সময় পিযুষ কান্তি রায় কালা, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, শিক্ষক স্বাশ্বতী রায়, ইন্দ্রজিত, নান্টু সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিযোগি ক্ষুদে শিল্পীরা রাধারমণ গান পরিবেশন করেন। বিচারকরা তাদের নাম্বার দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বরকত উল্লাহ বলেন, এখানে রাধাররমণকে নিয়ে যে উচ্ছাস হওয়ার কথা ছিল তা দেখা যাচ্ছে না। রাধারমণকে নিয়ে প্রচারণায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি। রাধারমণের গান কলকাতায় যে পরিমাণে হয় তাও আমরা পারিনি। এখানে রাধারমণের কমিটি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তা সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। রাধারমরণকে লালন ও ধারণ করতে হবে। বিশ্ব দরবারে রাধারমণকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সফলতার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে।