
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা:
রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীর এক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ ঘিরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে সেক্টর-১২ এর রোড নং ১, বাড়ি নং ৪০-এ এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরব প্রবাসী শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী তানজিদা মিম (২৭) ওই রাতে তার পরিচিত এক যুবক মেহেদী হাসানকে বাসায় প্রবেশ করান। মেহেদী উত্তরার একটি মার্কেটের দোকান কর্মচারী। ঘটনার দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে দারোয়ান আমিনুর রহমান তার নির্দেশে মেহেদীকে ঢুকতে দেন।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মিম ওই রাতে তার দুই সন্তানকে পাশের রুমে আটকে রাখেন। বড় ছেলে মুসা (১০) জানায়, তার মা একজন অচেনা পুরুষের সঙ্গে রুমে ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহাবুদ্দিন সৌদি আরব থেকে ফোনে বড় ভাবি রাজিয়া আক্তার সুমিকে সন্তানদের খোঁজ নিতে বলেন।
রাত ১২টার পর সুমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, মিমের ঘরে এক যুবক বসে আছেন এবং পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকজন যুবক সেখানে আসে বলে জানান তিনি। পরে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিম দাবি করেন, তিনি সেদিন দুপুরেই স্বামীকে তালাক দিয়েছেন এবং মেহেদী তার “বন্ধু”। তবে কোনো আনুষ্ঠানিক তালাকপত্র দেখাতে পারেননি। পুলিশ জানায়, অভিযোগ বা মামলা না থাকায় কাউকে আটক করা হয়নি।
পরদিন সকালে স্থানীয়রা দেখেন, মিম, তার ছোট ছেলে এবং কয়েকজন যুবক গহনা ও কাপড়চোপড়সহ বাসা ত্যাগ করছেন। দারোয়ান জানান, সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তারা জিনিসপত্র নিয়ে চলে যান।
প্রবাসী শাহাবুদ্দিন ফোনে জানান, তিনি ২০১৩ সালে মিমকে বিয়ে করেন এবং দীর্ঘদিন রিয়াদে একসঙ্গে ছিলেন। গত বছর থেকেই স্ত্রীর সন্দেহজনক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি অবগত হন এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এবার বিষয়টি সীমা অতিক্রম করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) জানান, শাহাবুদ্দিনের মা আফিয়া বেগম ৩০ অক্টোবর থানায় একটি জিডি (নং ২৯৩০) করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, প্রবাসী শাহাবুদ্দিন দেশে ফিরলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি এখন স্থানীয় মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে গড়া সংসারে এমন ঘটনাগুলো সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।