
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষের জেরে নিরীহ এক প্রবাসী নারীর পরিবারের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় নয় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পৌর বিপনী ভবনের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মেয়ে মোছা. মরিয়ম আক্তার।
তিনি জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার পাওনা টাকা নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ও হোসেন আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২৬ দিন পর আব্দুল হামিদের পক্ষের সোনা মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর প্রতিপক্ষের লোকজন হোসেন আলীর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে ১৯টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
মরিয়ম আক্তার বলেন, আমার মা মনোয়ারা বেগম আট বছর ধরে সৌদি আরবে প্রবাসে রয়েছেন। আমর এক ছোট ভাই-ও আমি সহ দুই বোন দেশে থাকি। আমাদের পরিবারের কেউ ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়। তারপরও হামিদ গংরা আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এতে প্রায় নয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমার মা বিদেশে অবস্থান করলেও তাকে লুটের মামলায় ১০ নং সাক্ষী করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আবারও আমাদের বাড়ি ও আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে হামলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় মরিয়ম আক্তার ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। তারা প্রশাসনের কাছে জানমালের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।