
স্টাফ রিপোর্টার:
পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং চারিত্রিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, চাপ কমায় এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ ও আগ্রহ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সুস্থ দেহ ও মন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার কার্যকারিতা বাড়ায়, যা সার্বিক জীবনে সাফল্য অর্জনে সহায়ক।
আজ ০৩ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের থানা পর্যায়ে দাবা খেলা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান প্রতিভা কর্মকার এর ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও মেডেল প্রদান কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নিং বডির সভাপতি, লেখক,গবেষক ,রাস্ট্রচিন্তক ও সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া এ কথা বলেন ।
উল্লেখ্য দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রতিভা কর্মকার বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সমন্বিত মতিঝিল শিক্ষা থানা (মতিঝিল, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, শাহজাহান পুর) এলাকায় দাবা খেলা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
আজ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক জনাব এম.এম. সহিদুজ্জামান, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ বেগম ফয়জুন্নেসা আক্তার ডলি, সহকারী শিক্ষক বেগম উম্মে সালমা’র উপস্থিতিতে গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও মেডেল প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত সকলেই কৃতি শিক্ষার্থী প্রতিভা কর্মকারের প্রতি অভিনন্দন ও শুভকামনা করেন।
ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া আরো বলেন, খেলাধুলা মানুষের শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে এবং হাড় মজবুত করে। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি কমায়। খেলাধুলা ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে এবং ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে। সুস্থ দেহ ও মন কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। খেলাধুলার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জিত হয়। এটি সামাজিক দক্ষতা এবং দলগতভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়। খেলাধুলা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে শেখায় এবং জয়-পরাজয়কে সহজভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি করে। এটি নৈতিক চরিত্র গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলাধুলা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। খেলার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তার সৃজনশীল বিকাশ ঘটে। খেলাধুলা আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। খেলাধুলার অভাব অনেক সময় শিশুদের প্রযুক্তির অপব্যবহারের দিকে ঠেলে দেয়, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার অভ্যাস একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা তৈরি করে।