
জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয় জননেতা আলহাজ্ব আলতাফ হোসাইন মোল্লা বলেছেনঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে আগে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিতে হবে। বর্তমান সংবিধানের আলোকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা আইনসিদ্ধ হবে না। সরকার যদি এই ভুল করে আগামী দিনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। তাদের বুঝা দরকার ৫ই আগস্টের পরাজিত শক্তি পিছনে আছে শক্তিশালী ভারত। যারা বরাবরই আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আইনের শাসন সংস্কৃতি অর্থনীতি গণতন্ত্র সবকিছু নিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত।
আমাদের স্টাফ রির্পোটার আল আমিন রনিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন আগামী নভেম্বর মাসের ভিতরে সরকারের বৈধতার প্রশ্নে গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে । যদিও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন আইনের প্রশ্নে এই স্বাক্ষর মূল্যহীন।
আলতাফ হোসাইন মোল্লা আরো বলেন গণভোট ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দল যদি এই সনদে স্বাক্ষর করে তাতেও সেটা প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে। এর মূল কারণ হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমান সংবিধানের আর্টিকেল-৭ এর আলোকে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেনডাম এর মাধ্যমে আপদকালীন সময়ে কিছুদিনের জন্য গঠিত হয়েছে। এই সরকার রুটিন ওয়ার্ক করতে পারবে। কোন দেশে-বিদেশে চুক্তি করা বা বাতিল করা বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোন সনদ করা বা জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সেটা বর্তমান সংবিধান লংঘন হবে। এই জন্য আগে সরকার গণভোটের মাধ্যমে সমর্থন আদায় করা বাঞ্ছনীয়। এর বাইরে যদি সরকার নির্বাচন করতে চায় সংবিধানের জন্য গণপরিষদের নির্বাচন করতে পারেন। গণপরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সাংবিধানিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, রাস্তা দুইটা। একটা হল গণভোটের মাধ্যমে সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে তাদের পরবর্তী কার্যক্রম করতে পারে অথবা গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সরকার যদি এর কোনোটি না করে বর্তমান অবস্থায় নির্বাচন দেয় তাহলে আগামী দিনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধিগণ ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতাকে ভবিষ্যতে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আলতাফ হোসাইন মোল্লা সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং জাতি গভীর সংকটে পড়বে। তাই জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি, নতুবা গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নির্বাচনের আগেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন সম্পন্ন করতে হবে।