
আল আমিন রনি, স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে “নাগরিক নিরাপত্তা ও আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব” শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডাক্তার এস এম সরওয়ার বলেন জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে গণমানুষের চাহিদা পূরণে সকলকে মানবিক হয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব হলো জাতিকে পথ দেখানো আর জনগণের কাজ হলো দেখানো পথে হাটা। কিš‘ বর্তমান সময়ে কেন যেন সরকার আর জনগণের দূরত্ব বেড়েই চলছে। যা কারো কাম্য নয়। আমাদের মনে রাখা উচিৎ এদেশ এবং জাতি রক্ত দিয়ে গড়া জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জাতি যদি হতাশ হয় তাহলে বড়ই দূর্ভাগ্য বটে। এ থেকে উত্তোরণের জন্য জাতীয় ইস্যুতে সর্বদলীয় ঐক্যমত দরকার। আর এধরনের জাতীয় সংলাপই সমাধানের অন্যতম মাধ্যমে বলে আমি মনে করি।
গত ৭ ই নভেম্বর ২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকা থেকে বিকাল ০৫ ঘটিকা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডাক্তার এস এম সরওয়ার এর সভাপতিতে ও সংগঠনের মহাসচিব কথাসাহিতিক ইঞ্জিনিয়ার বি এম এরশাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে¡ অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য কবি ও বহুভাষাবিদ মাহমুদুল হাসান নিজামী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল বিডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,সামছুল আলম চৌধুরী সুরমা ভাই, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর যুগ্ম সাংগঠনিক সচিব কাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী বীরমুত্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, জতীয় একতা পাটি চেয়ারম্যান ও সংগঠনের উপদেষ্ঠা জননেতা আবু আহাদ আল মামুন (দীপু মীর)। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন জননেতা সাবের হোসেন কাজী সাব্বির (সভাপতি এন সি বি) কাজী মনিরুল ইসলাম মনির (সভাপতি পল্লী উন্নয়ন পার্টি), মনসুর রহমান পাশা (চেয়ারম্যান, জাতীয় জনতা লীগ), মাওলানা আরিফুর রহমান (সভাপতি, ন্যাশনাল মুসলিম লীগ), এস এম জাকির হোসেন (নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ একু শে পার্টি), মাওলানা কাজী মনিরুজ্জামান (চেয়ারম্যান, শানে আউলিয়া বাংলাদেশ), এস এম আবু তাহের, কবি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন জনি, তানভীর হাসান, ডাক্তার ফুয়াদ সহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেণ্য কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচন-উভয়ই দেশের ভবিষ্যতের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনগণের কল্যাণে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনা করা, আর জনগণের দায়িত্ব সেই পথে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু বর্তমানে সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, যা কারও কাম্য নয়।
বহুভাষাবিদ নিজামী আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, এই জাতি রক্ত দিয়ে গড়া। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো একটি জাতি যদি হতাশ হয়ে পড়ে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই জাতীয় ইস্যুতে সর্বদলীয় ঐক্যমত গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। জাতীয় সংলাপই হতে পারে সমস্যা সমাধানের অন্যতম পথ।
জননেতা আবু আহাদ আল মামুন (দীপু মীর) চেয়ারম্যান জতীয় একতা পার্টি তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলোচনার মাধ্যমে একমাত্র একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমই দিতেপারে জাতির প্রকৃত মুক্তি এবং জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। এ সময় অনন্যদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ।
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, শুধু চেয়ারের পরিবর্তন হলে হবে না, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে। সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক মানুষ যদি চেয়ারে না বসতে পারলে তবে, ইনসাফ কায়েম হবেনা, ঘুষ-দুর্নীতি চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। আমাদের একেবারে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি আরো বলেন দেশকে বদলাতে হলে তার পরিচালনা পদ্ধতি এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। এর জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য, যা শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। প্রলেপ দেওয়া পরির্বতন না, একদম গভীর থেকে পরিবর্তন করতে হবে। নইলে এক স্বৈরাচার গিয়ে আরেক স্বৈরাচার আসবে।
আলোচনা সভায় সংগঠনের মহাসচিব বি. এম. এরশাদ বলেন, নির্বাচন এখন গণদাবি। তবে নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত। পাশাপাশি বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে ডাক্তার এস এম সারোয়ার আরো বলেন-দেশের ক্রান্তকাল মুতুর্তে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। সুন্দর এবং কল্যাণমুখী দেশ গড়তে জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচিত সরকরের এই মূহুর্তে খুবই প্রয়োজন। তাই এই লক্ষেই বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। আপনারাও আমাদের অগ্রযাত্রায় সারণি হয়ে সঙ্গ দিবেন সেই প্রত্যাশায় রাখি। পরিশেষে অনুষ্ঠানের উপ¯ি’ত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি সংলাপ সমাপ্তি ঘোষনা
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস. এম. সরওয়ার বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। জাতীয় নিরাপত্তা ও একটি নির্বাচিত সরকারের প্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি। ইসলামী সমন্বয় পরিষদ সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।