
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সংবিধান সংস্কারে গণভোটই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণ-আজাদী লীগের মহাসচিব ও বাংলাদেশ প্রসেস চিকেন ওনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব মো. আকবর হোসেন ।
তিনি আরও জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটই সমাধান। এছাড়া সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ ও সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেন। আলহাজ্ব মো. আকবর হোসেনএর মতে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তবে গণভোট ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং জাতি গভীর সংকটে পড়বে। তাই জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি, নতুবা গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আলহাজ্ব মো. আকবর হোসেন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নির্বাচনের আগেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন সম্পন্ন করতে হবে।
জুলাই বিপ্লবের চেতনা নিছক আবেগ নয়-এটা বাংলাদেশের আত্মার নতুন ভাষ্য। এই ভাষ্যকে বহন করেই আমাদের এগোতে হবে।
জুলাই, ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি কেবল একটি মাস নয়, এক বিপ্লবের নাম। হাজারো তরুণ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে, জীবন উৎসর্গ করে জুলাই মাসের ইতিহাস রচনা করেছে। অসীম সাহস আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা জাতিকে আরেকবার স্বপ্ন দেখালো, দেশকে নতুন করে কীভাবে ভালোবাসতে হয় আমাদের শেখালো।
জুলাই বিপ্লব একটি সুযোগ। কিন্তু এই সুযোগ যদি রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসমাজ কাজে লাগাতে না পারে, তাহলে ইতিহাস একদিন তাদেরকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে নিশ্চয়ই । আসুন, আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নেই। যেন আগামী প্রজন্ম গর্ব করে বলতে পারে- “আমার বাংলাদেশ বদলে গেছে, কারণ আমরা পিছপা হইনি।