
কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
এক বিষন্নের হেমন্তে তোমার আমার প্রণয়ন রসায়ন হয়েছিল সংমিশ্রণ
একদিন ‘ভালোবাসার’ শক্ত কপাট খুলে ‘প্রণয়’ হয়ে গেল হাঁড়ি-পাতিল সর্বস্ব!
দোষ দিলে আমায়, আদর সোহাগ ছাড়া হেঁশেল ঢেলা নারী
প্রণয় যত্ন একটা শিল্পের মত, সবাই শিল্পী হতে পারেনা, ভালোবাসা হয়ে যায় অপকর্ষ!
সব প্রণয় স্ব শরীরে চাহে, গদ্যে বর্ণনা করা যায় কিছুদিন, মোহে
কুজ্ঝটিকায় ঢাকা অংশুমালীর নয়, হেমন্ত দুপুরের খর রোদ চাহে, দোহে!
উভয় অন্ধ উন্মাদ ভালোবাসাময়, চাই আরো কাছে, দেবদাস পার্বতী বিরহ নয়
‘সোজন দুলির’ মত জহর পানে চাইনা ছাড়তে ধরাধাম, শত গঞ্জনা সহে!
কুমার কুমারী স্বর্গীয় প্রেম বলে সাধু সেজে , দীর্ঘ প্রতিরক্ষার পর কাছে এসে দেখি
পরিবর্তিত মনের পরিপাটি অবয়ব নাই, পূর্ণিমা শশী হৃদয় আমাবস্যায় ঢাকা!
যে মনকে ভালো বাসলাম তার ধ্বংসস্তুপে দাড়ি, প্রণয়ের চৌহদ্দি খুঁজি
দিশা হারা ম-ম প্রেম, তখন ফলানো ফসল হৃদয় মাঠ, শুধু চৌচির চৈত্র ক্ষেত, আমি হীন, ফাঁকা!
ভাটার টানে অতি অপেক্ষার প্রেম পয়স্বিনী, অন্য তটিণী-র সাথে গেছে মিশে
যার জন্য মনের গহীনে বাবুই পাখির মত শিল্পে ঘর বেঁধেছিলাম!
হেমন্তের শিশির ভেজা কোন এক গহীন রাতে এসে ছিলো মনো চোর
কাল বৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সে ঘর, এ ঘর-সংসারের জন্য কি একদিন কেঁদেছিলাম?