
স্টাফ রিপোর্টার:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদের খসড়া প্রণয়ন করেছে সেটা সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া এই জুলাই সনদ জনগণ মানবে না। গতকাল জাতীয় ঐক্যজোটের সভায় বক্তারা এ কথা বলেন
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধ আগে গণভোট নিয়ে সরকারের বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে। অবৈধ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করলে সেই নির্বাচনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে না। গণভোট না দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন ঘোষণা করলে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অপকর্মের দায়ভার নিবে না।
১২ ই নভেম্বর ২০২৫ জাতীয় ঐক্য জোটের উদ্যোগে আল্লামা আহমেদ শফী মিলনায়তনে জুলাই সনদ এর বাস্তবায়নে গণভোটের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐক্য জোটের সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার শাহ সুফি সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্য জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত আল্লামা আবু জাফার কাসেম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা আলতাফ হুসাইন মোল্লা, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি,নজরুল গবেষক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, জোটের প্যানেল প্রধান সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন শুভ, প্যানেল মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেন, মিডিয়া সমন্বয়কারী প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় ঐক্য জোটের সমন্বয়কারী মাওলানা ওবায়দুল হক, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, মুফতি মাহবুবুর রহমান বিন নূরী, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, তাইফুর রহমান রাহি, মোঃ ইসমাইল হোসেন ,বাংলাদেশ আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমি মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, মোহাম্মদ আজম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাকারি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরউল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ নতুন ধারা জনতা পার্টি চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নুর, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল আল মামুন, প্রমূখ।
জাতীয সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ৫০০০০ টাকা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এটা পরিকল্পিতভাবে সৎ নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদগন এই নির্বাচনে যেন অংশগ্রহণ না করে এজন্য এই ব্যবস্থা। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাদের ৫০০০০ টাকা জামানত রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার সম্ভাবনা নাই। দুর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিকরা ছাড়া কোন আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দূরহ হবে। বক্তাগণ নির্বাচনে জামানতের হার ২০ হাজার টাকা রাখার জোর দাবি জানান।