
মোঃ রায়হান পারভেজ নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন, ডিমলা উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৩টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিজয় চত্বরে এই শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনার রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার তাঁর বক্তব্যে বলেন,
ইসলামে শ্রমিকদের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। যারা দেশের শ্রমিকদের কষ্ট বোঝে, তারাই প্রকৃত অর্থে জাতির বন্ধু। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি—সবাই ক্ষমতায় থেকেও জনগণের কল্যাণে ব্যর্থ হয়েছে। কেউ স্বৈরাচার হয়েছে, কেউ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কেউ নয় বছর রাজা হয়েছে, আবার দশ বছর সাজা ভোগ করেছে। কিন্তু শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মাঠে-ময়দানে শ্রমিকদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
নীলফামারী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন,
অনেকে প্রচার করছে এমপি হলেই ভাগিনা কোটায় মন্ত্রী হবে— অথচ তারা এখনো ভাগিনা কোটায় নমিনেশনই নিতে পারেনি। জনগণ এখন বুঝে গেছে কে সত্যিকার অর্থে তাদের কল্যাণে কাজ করছে।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন,
শ্রমিকদের ঐক্যই আমাদের শক্তি।যে ঐক্য ইসলামী মূল্যবোধে গঠিত, সেটিই টেকসই ও কল্যাণমুখী সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যাপক কাজী হাবিবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি কাজী রোকনুজ্জামান বকুল, ডিমলা সদর ইউনিয়ন আমির নূর মোবাশ্বেরসহ স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অসংখ্য নেতাকর্মী।
বিজয় চত্বর প্রাঙ্গণ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। সমাবেশে শ্রমিকদের মধ্যে ছিল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। বক্তারা দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটে শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।