কলমে: তরি গাইন
কর্মের মাধ্যমে মানুষ দুইভাবে বেঁচে থাকে একটি হলো বিখ্যাত এবং অপরটি কুখ্যাত। আমরা জানি, বিখ্যাত হল ভালো কাজের সর্বোচ্চ পর্যায়, আর কুখ্যাত হলো খারাপ কাজের সর্বোচ্চ পর্যায়। তবে বিখ্যাত এবং কুখ্যাতের মধ্যে একটি সাদৃশ্য রয়েছে। এরা উভয়েই জনসম্মুখে পরিচিত একজন ভালো মানুষের উদাহরণ হিসেবে এবং অপরজন খারাপের উদাহরণ হিসেবে। আমরা সবাই বিখ্যাত মানুষের জীবন অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যাই। তাদের জীবন থেকে ভালো মানুষেরা অনেক শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। আর কুখ্যাতদের জীবন থেকে আমরা শিখি কী হতে পারে খারাপ কাজের পরিণতি। তবে আমাদের জীবনচক্রের এই ক্ষুদ্র সময়টুকু ভালো কাজ করা উচিত, যাতে আমরা লোকের মাঝে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারি, এবং এটাকেই বলা হয় প্রকৃতপক্ষে বিখ্যাত হওয়া।তবে বিখ্যাত হওয়া মানুষের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। সকলের উচিত তাদের কর্ম করে যাওয়া, এবং কর্মের ফলস্বরূপ সবাই তাকে বিবেচনা করবে, সে বিখ্যাত নাকি কুখ্যাত। আমরা এমন অনেক মানুষকে চিনি যারা বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রানী রাসমণি, আলবার্ট আইনস্টাইন, আব্রাহাম লিংকন, এপিজে আবদুল কালাম প্রমুখ। একই সাথে আমরা কুখ্যাত লোকদেরও চিনি, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো এডলফ হিটলার এবং জ্যাক দা রিপার (১৯৮৮ সালের লন্ডনের একজন ধারাবাহিক খুনি) প্রমুখ।তবে এগুলোর পর, যদি বিখ্যাত কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা বলি, তবে প্রথমেই আসবে খুলনা আর্ট একাডেমির নাম। খুলনা আর্ট একাডেমি যা ২০০৮ সালে স্থাপিত হয়েছে এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় মিলন বিশ্বাস স্যার এটি পরিচালনা করেন। আমার দৃষ্টিতে, কোনো কিছু বিখ্যাত হয় ভালো কর্মের মাধ্যমে। তেমনি আমাদের খুলনা আর্ট একাডেমির স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শ্রদ্ধেয় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস স্যার এবং তার প্রাক্তন কিছু শিক্ষার্থীর ভালো কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খুলনা আর্ট একাডেমির শিক্ষার্থীদের বিচরণ রয়েছে। তারা পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছে এবং তাদের অসাধারণ কর্মের জন্য আজ দেশব্যাপী খুলনা আর্ট একাডেমি বিখ্যাত। আমি চারুকলা পড়ার উদ্দেশ্যে এসে এই প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, তার কিঞ্চিত মাত্র তুলে ধরলাম।এই প্রতিষ্ঠান থেকে বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এর কারণ চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস স্যার শুধুমাত্র বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষা দেন না, তিনি একজন আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় মিলন বিশ্বাস স্যারের অনুমতিতে আজ পরীক্ষায় সবাইকে লিখতে দিয়েছিলো বিখ্যাত এবং কুখ্যাত বলতে কী বোঝ, এ সম্পর্কে কিছু বলতে যাচ্ছি।স্যারের কাছ থেকে এই অল্প দিনে আমি যে শিক্ষা গ্রহণ করেছি, আজ আমার হৃদয়ের ভিতর থেকে এই লেখাটি লেখা সম্ভব হয়েছে। স্যার নবীন চারুশিল্পীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেছেন এবং শিল্পী গড়ার কারিগর হিসেবে সম্মাননা লাভ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত, এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পেরে। যারা স্যারকে সম্মাননা দিয়েছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই একজন মূল্যায়নযোগ্য আদর্শ শিল্পীকে মূল্যায়ন করার জন্য।আমার লেখা পড়ে যদি কোনো ভুল থেকে থাকে, দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং সকল পাঠকদের কাছে অনুরোধ, আমি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার বিষয়ে একজন পরীক্ষার্থী। তাই সবাই আমাদের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আশীর্বাদ করবেন, আমরা যেন ভালো রেজাল্ট করে পড়াশোনা শেষ করে দেশের ভালো কাজের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি। সকলের কাছে প্রত্যাশা করছি, এবং আমাদেরকে আশীর্বাদ করবেন যাতে আমরা সকলে মিলে খুলনা আর্ট একাডেমিকে বিশ্বব্যাপী সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারি আমাদের কর্মের মাধ্যমে।আমি অনেক গর্বিত যে শ্রদ্ধেয় মিলন বিশ্বাস স্যারের একজন শিক্ষার্থী হতে পেরেছি। সবাই আমাদের জন্য শুভকামনা করবেন।
লেখক পরিচিতি:
নাম: তরি গাইন।
শিক্ষার্থী: খুলনা আর্ট একাডেমির চারুকলা ভর্তি কোচিং, ২০২৫
ব্যাচ: ১৬তম
রোল: ০৭