
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
ঢাকার জনসেবামুখী ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন সক্রিয় ভূমিকা রাখা চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ইন পাবলিক পলিসি (Master in Public Policy – MPP) প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ লাভ করেছেন। নীতি-গবেষণা, নেতৃত্বগঠনের প্রশিক্ষণ এবং বৈশ্বিক প্রশাসনিক কাঠামো উন্নয়নে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল (Harvard Kennedy School)–এর এ প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিকভাবে নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও গবেষকদের অন্যতম গন্তব্য।
চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর একাডেমিক পরিক্রমা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক অ্যাট স্টনি ব্রুক (SUNY Stony Brook) থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড কলেজ পার্ক এবং জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক চয়েস ইকোনমিকসে পোস্টব্যাচেলরেট প্রি-মাস্টার্স অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন। ইউরোপীয় নীতি, ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক প্রশাসন সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের ভিত্তি গড়ে ওঠে নেদারল্যান্ডসের দুটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান—লেইডেন ইউনিভার্সিটি এবং মাস্ট্রিখ্ট ইউনিভার্সিটিতে তার ইউরোপীয় স্টাডিজ–এর স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের মাধ্যমে।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে গাজীপুর–২ এবং ২০২৪ সালে গাজীপুর–১ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া ২০১5 সালে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে নাগরিক-অংশগ্রহণভিত্তিক প্রশাসন ও নগর উন্নয়ন–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুসমূহকে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক পরিবার—গাজীপুরের কালিয়াকৈরের প্রসিদ্ধ বালিয়াদি জমিদার পরিবার—এর উত্তরাধিকারী। পরিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক দায়িত্ববোধ, আন্তর্জাতিক শিক্ষা এবং জনসেবার অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন প্রশাসনে তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি একটি বিশেষ মাত্রা অর্জন করেছে।
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে তার অধ্যয়নের লক্ষ্য হলো প্রমাণভিত্তিক নীতি–বিশ্লেষণ, প্রশাসনিক সংস্কার, কার্যকর শাসনব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন–ইস্যুতে উন্নততর দক্ষতা অর্জন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, হার্ভার্ডে অর্জিত জ্ঞান ও গবেষণামুখী প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জননীতি–উদ্ভাবন, গণপ্রশাসন এবং জনকল্যাণমূলক উদ্যোগে কার্যকর ভূমিকা রাখতে তাকে সক্ষম করবে।