
খুলনা অফিস:
অবিসংবাদিত আপোষহীন মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন, খুলনা এর উদ্যোগে আজ ১৭ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় মহানগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ নবপল্লী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড, এস, এম, শফিকুল আলম মনা, প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট নাগরিকনেতা অ্যাডভোকেটে মোঃ বাবুল হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কাইউম জমাদ্দার, বিশিষ্ট সমাজসেবক শেখ আব্দুল হালিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক মফিজুর রহমান টুকু। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক, সংগঠক, মানবাধিকারকর্মী ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স.ম. হাফিজুল ইসলাম। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ আলী হাকিম, শেখ মনিরুজ্জামান লাভলু, এইচ এম নাসির উদ্দিন, অ্যাড, মোঃ জিনারুল ইসলাম, শেখ আবু আসলাম বাবু, শায়েখ ক্বারী আবুল খায়ের, অ্যাড, মেহেদী ইনছার প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শেখ আসাদুজ্জামান মিথুন ও কাওসারী জাহান মঞ্জু, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মে বিশেষ অবদান রাখায় মওলানা ভাসানী ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়। যারা সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন এইচ এম নাসির উদ্দিন (সাংবাদিকতায়), আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান জমাদ্দার (সমাজসেবায়), শেখ মনিরুজ্জামান লাভলু (সাহিত্যে), সৈয়দ সাঈদুল ইসলাম (রাজনীতিতে), মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন (মানবাধিকারকর্মে), রাম প্রসাদ রায় (সংগীতে) এবং এম এম হাসান (ঐতিহ্য সংগ্রাহক)। আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঐতিহাসিক ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করতে যেয়ে বক্তারা বলেন শুধুমাত্র আসামেই ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। টাঙ্গাইলে গড়ে তোলা একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁর হাতে। অথচ তিনি কোনটিই তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে নামকরণ করেননি। একজন খাটি জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে তিনি একাধারে প্রগতিশীলতা, ধর্ম এবং সমাজতন্ত্রের আদর্শ গ্রহণ করে নিজেকে একজন অভূতপূর্ব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত করতে পেরেছিলেন। দেশমাতৃকার স্বার্থে তিনি ছিলেন সর্বদা আপোষহীন। কোন রক্তচক্ষু তাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। সাদামাটা জীবনের অধিকারী এ নেতার কর্মময় জীবন থেকে শেখার আছে অনেক কিছুই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ইতিহাস বিকৃতি এবং খন্ডিতকরণের মাধ্যমে তাঁকে উপেক্ষা করা হয়েছে বার বার। মওলানা ভাসানীর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রদত্ত অবদান সঠিকভাবে ইতহাসে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় বক্তারা বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি প্রাসঙ্গীক।