
মো. সাব্বির হোসেন জয়
হে তরুণ!
তুমি কি দেখো না—
তোমার বাংলার রক্তে রাঙা বাস্তবতা?
অন্যায়! অবিচার! অরাজকতার বিষবাষ্প—
ছড়িয়ে আছে রাজপথে,
জনতার নিঃশ্বাসে!
ন্যায়ের ভাষা আজ বন্দি —
শাসকের গহ্বরে!
চাঁদার লোভে দুর্বৃত্তরা মারে মানুষ,
গার্মেন্টসের শ্রমিক পুড়ে যায় ঘরে ঘরে,
শহর জ্বলে ওঠে আগুনে!
শোকের নামে বিত্তবান দেয় মিথ্যা বিবৃতি,
স্বজন পায় না লাশ—
কাঁদে বুকভরা স্মৃতি!
তুমি চুপ কেন হে তরুণ?
তুমি এত ভীতু কেন?
আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মানবতার মুখ,
রাস্তায় পড়ে থাকে ছাই—
ন্যায়ের কণ্ঠ হয় নিস্তব্ধ, শুষ্ক!
শাসকের হাসিতে লুকায় হাজার কান্নার সুর,
এই দেশ কি তবে আজও অন্ধকারের পুর?
ন্যায়ের ভাষা হারিয়ে গেছে আগুনের গহ্বরে,
জীবন আজ দুলছে কেবল ধোঁয়ার এই শহরে!
তুমি চুপ কেন তরুণ?
তুমি এত ভীতু কেন?
তুমি কি দেখো না—
অসাধুরা ব্যবসার ছলে করছে দালালি!
প্রতিটি মোড়ে লাঞ্ছিত হয় আমার বোন মালী!
জুয়ার নেশায় পিতা হারায় সন্তানের হাতে প্রাণ,
মাদকের ছোবলে ভাই আজ বোনেরই অপমান!
তুমি কি শুনো না—
বিচারের নামে চলছে প্রহসনের গান!
রক্তে রঞ্জিত রাস্তায় হারায় মানবতার মান!
ক্ষমতার দম্ভে রুদ্ধ হয় সত্যের কণ্ঠস্বর,
সৎ মানুষ আজও নীরব—
ভয়ে, অপমানে, অন্তরজ্বরে!
তবুও তুমি চুপ কেন?
তুমি এত ভীতু কেন?
জাগো হে তরুণ! সময় এখন তোমার!
অন্যায়ের শৃঙ্খল ভাঙো,
জ্বালো সত্যের অগ্নিঝর!
মানবতা ফিরিয়ে আনো,
জাগাও দেশের মান!
এই বাংলায় আর যেন না জন্মায়
লাঞ্ছনার গান!
জাগো তরুণ! জাগো!
ভেঙে দাও অনিয়মের দেয়াল!
জ্বালিয়ে দাও অন্যায়ের কালো শিখা!
উঠে দাঁড়াও— ন্যায়ের পতাকা হাতে!
জাগো তরুণ! জাগো!
ভাঙো এই অবরুদ্ধ প্রাচীর!
বাঁচাও এই মাটিকে, এই নদীকে, এই স্বপ্নকে—
বাঁচাও প্রিয় বাংলাদেশকে!
তোমার চোখে জ্বলে উঠুক আগুনের দীপ্তি,
তোমার কণ্ঠে বাজুক ন্যায়ের বজ্রধ্বনি!
এই দেশ তোমার!
এই সময় তোমার!
এই দায়িত্ব তোমারই— হে তরুণ!
জাগো তরুণ, জাগো!
ভেঙে দাও অন্যায়ের শৃঙ্খল!
তোমার হাতেই শুরু হোক—
এক নতুন বিপ্লব,
এক নতুন ভোর,
এক নতুন বাংলাদেশ!