সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কবি মোঃ জাবেদুল ইসলাম নদী–মানুষ–মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া এক সাহিত্যিক জীবন ৩বারের মত ওমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান সিআইপি” নির্বাচিত, ওমানে আনন্দের উল্লাস পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে প্রাক বড়দিন উদযাপন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নওগাঁর সাপাহারে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন কবিতাঃ পথ প্রহরের যাযাবর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে ঘাসফুলের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত জগৎটা কি সত্যিই মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে? বুদ্ধিজীবী দিবসে নীলফামারী জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি বাহার উদ্দিন বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশনের কার্ষকরী সদস্য নিবার্চিত

জলঢাকায় আলুর দাম না থাকলেও আগাম আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৫ Time View

 

মোঃ রায়হান পারভেজ নয়ন
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী

নীলফামারীর জলঢাকায় বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল না থাকলেও আগাম জাতের আলুর চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। লোকসানের শঙ্কা মাথায় নিয়েই তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে জমিতে কাজ করে যাচ্ছেন। গত মৌসুমে দাম কমে ক্ষতির মুখে পড়লেও এবার সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার আশায় আগের চেয়ে আরও বেশি যত্ন নিয়ে আলুর পরিচর্যায় মনোযোগ দিয়েছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জলঢাকায় প্রায় ৪২০ হেক্টর উঁচু জমিতে গ্রানুলা, সেভেনসহ বিভিন্ন জাতের আগাম আলুর চাষ হয়েছে। এছাড়া এলাকার দুটি হিমাগারে এখনো প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে থাকায় নতুন আলুর দাম নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এক মাসের মধ্যেই মাঠে উঠবে আগাম আলু, তাই কী দাম পাওয়া যাবে—এ নিয়েই দুশ্চিন্তা চাষিদের।
মীরগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, “পাঁচ বিঘায় সেভেন জাতের আলু লাগিয়েছি। গতবার দাম না থাকায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। এবার কী ভাগ্য নিয়ে আল্লাহ দিয়েছেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।”
খুটামারা ইউনিয়নের কৃষক মাহাতাব আলী জানান, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হাইব্রিড ধান কাটার পর আলু রোপণ করেছেন তারা। তার আশা, নভেম্বরের পনেরো দিনের মধ্যেই নতুন আলু তোলা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “এ এলাকার আগাম আলু ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করি। কিন্তু এবার হিমাগারে পুরোনো আলু বেশি থাকায় দাম কেমন হবে তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।”
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিজানুর রহমান জানান, জলঢাকা অঞ্চলে আগাম আলু বেশ জনপ্রিয়। ফলন তুলনামূলক কম হলেও বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে থাকেন। তবে এবার সংরক্ষিত আলুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, যেখানে পানি জমে না—সেসব উঁচু জমিই আগাম আলুর চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। সাধারণত ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই এ জাতের আলু ঘরে তোলা যায়।
কৃষকদের আশা—দাম যদিও অনিশ্চিত, তবুও পরিশ্রমের সঠিক মূল্য তারা পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102