
কলমেঃ সাহেলা সার্মিন
সুমধুর আজানের সুর বাজিলে কানে
নব্য শীতে মিলিয়ে যায় কাঁথা কম্বলে,
কুহেলিকা কাটিয়ে উঠে দাঁড়াই নামাযে
মন প্রাণ ভরে যায় কুসুম কোমলে।
নব্য শীতে ধরে রাখে আমারে ডাকে
বারেবারে লেপ, কাঁথা, কম্বলে,
প্রভাতে রবির কর কোন্ ফাঁকে
এসে পড়ে নয়ন করে ঝলমলে।
মন উঁচাটনে ভাঙিলো ঘুম
আলোর বাঁধ ভাঙা যৌবনে,
নব আলোর বেনু উঠিলো বাজিয়া
শিশির ভেজা মাতাল প্রাণে।
আলোর বানে ভাসালো কুসুম কানন
ভাসলো যত পত্র মঞ্জুরি,
গগন বরণ নিরব শিশিরে
প্রাণে বাজায় বাঁশির সেঞ্চুরি।
শিশিরে আলোর খেলা
মুক্ত রাশি করে ঝলমল,
উঠোন জুড়ে দোয়েলের নাচানাচি
তিন শালিকের কোলাহল।
কোমল প্রাণে পরশ আসে
বিয়োগ ব্যথার তিয়াশ,
নিমিষেই বরণ বিহারী ভ্রমর
কুসুম কাননে মেটায় পিয়াস।
খেজুর রসের হাড়ি এসেছে বাটে
মৌমাছির ওড়াউড়ি চারিপাশে,
কাঁচের গ্লাসে টলটলে মিষ্ট রস
উদরসাত করি নিমিষে।
ওদিকে চুলায় নতুন চালে মিষ্টি রস
ভালোবাসার আয়েসে সঞ্চিত,
ছড়ায়েছে নাসিতে নতুন সুবাস
কেউ হবেনা এতে বঞ্চিত।
ঋতু আবর্তনে ধরনীর এই নব সাজ
যুগ যুগ ধরে আসছে চলে,
ভোরের আলোর মহলের কদর
কেবল এই হেমন্তে আর শীতে চলে।