
কলমে: মোহাম্মদ সহিদুল আলম
রোজ বিকেলে দাঁড়িয়ে থাকতেন জানালার পাশে প্রিয় মানুষটি! একাকী এবং কি নানান স্বপ্নে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যেত।
পাশের বাড়ির লক্ষী ছেলেটা সকাল- সন্ধ্যা হারমোনিয়াম বাজিয়ে, সুর লয় তানে, গেয়ে যায় গান। বেশ ভালো লাগে আমার।
বিলের দক্ষিণা বাতাসে মন ভবঘুরে। অবচেতন মনে শৈশবের দিনগুলিতে হারিয়ে যায়! পানকৌড়ি আর রাজহাঁস ছুটোছুটিতে, মন জুড়িয়ে যায়।
স্কুল শিক্ষক কথায় কথায় শাসন করতেন, বকা আর কানমলা ছিল প্রতিদিনের আহার৷ এছাড়াও পড়া না পারলে বেঁতের পিটুনি!
তিনি আজ কেমন আছেন! মনে পড়ছে সারাটিক্ষণ। কানমলা আর বেঁতের পিটুনিতে আজ ছাত্ররা মানুষের মতো মানুষ হয়েছে, অনেক বড় হয়েছে শিক্ষকের অবদানে।
প্রতিটি বাবা-মা সন্তানের প্রথম শিক্ষক। বাবা-মায়ের পরেই যারা, তারা প্রিয় শিক্ষকরা। বাসায় বাবা-মা সামলায় একটি বা দুটি সন্তান, আর স্কুলে শিক্ষককে সামলাতে হয় এক ক্লাসে যত জন ছাত্র ছাত্রী থাকে, ভিন্ন ভিন্ন বাবা-মা’র সন্তান।
পারিশ্রমিক, কোন মূল্যেই হয় না! শিক্ষক ছাত্রদের মানুষের মতো মানুষ করার কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেন বিধায় সমাজ উন্নতির দিকে এগিয়ে। বাবা-মা’র স্বপ্ন পূরণ, সন্তানেরা মানুষের মত মানুষ হচ্ছে।
বাবা-মা আর শিক্ষকদের জন্যই পেয়েছি সুন্দর স্বপ্নময় জীবন আর সম্মান। প্রতিটি মায়ের সন্তানের কাছে বাবা-মা’র পরেই শিক্ষকের অবদান বিদ্যমান।