স্টাফ রিপোর্টার
নিবন্ধন বঞ্চিত শতাধিক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের দাবিতে ২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার বেলা ১১টা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোট প্রধান জননেতা ড. আব্দুল মালেক ফরাজী।
সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, লে. কমা. মো. মেহেদী হাসান (অব.) সভাপতি বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি ও জোট মুখপাত্র লায়ন মো. ফারুক রহমান, সভাপতি, ন্যাশনাল লেবার পার্টি, মো. গোলাম ফারুক মহাসচিব, ন্যাশনাল ফ্রিডম পার্টি, এসএম আব্দুল লতিফ মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি মো. আব্দুল্লাহ চেয়ারম্যান, অহিংস গণআন্দোলন ও জোট সমন্বয়ক
উপধ্যক্ষ ডা. একেএম ফজলুল হক চেয়াম্যান, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি মো. আমিরুল ইসলাম আহ্বায়ক, মুসলিম জনতা পার্টি মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার,সভাপতি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্জিয়া রহমান, সদস্য সচিব, জাস্টিস পার্টি বাংলাদেশ, মোবারক হোসেন,সচেতন ভোটার দলের চেয়ারম্যান,মনিরুল ইসলাম, সভাপতি সার্বজনীন দল, কবি সেলিম রেজা সহ সমাবেশে নিবন্ধন বঞ্চিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ ও মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার প্রণীত বৈষম্যমূলক ও অবাস্তব আইনের কারণে নির্বাচন কমিশন আমাদের নিবন্ধন আবেদন নামঞ্জুর করে। রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল করা আমাদের নাগরিক অধিকার। আমরা সেই অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ফ্যাসিস্ট আমলে প্রণীত নিবন্ধনের কালো আইন বাতিলপূর্বক আবেদিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা নিবন্ধন বঞ্চিত রাজনৈতিক দলগুলো তীব্র আন্দেলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। নিবন্ধনের এই কালো আইন বাতিলের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না।
সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
সমাদেশ বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তে বলা হয়েছিল-নিবন্ধনে আগ্রহী দলকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দরখাস্ত জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে কমপক্ষে একটি আসন লাভ করতে হবে। অথবা অংশ নেওয়া আসনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে। তিন নম্বর শর্তে বলা আছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং কমপক্ষে ১০ জেলা ও ৫০ উপজেলায় কমিটিসহ সক্রিয় দপ্তর থাকতে হবে।
কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর এই আইন সংশোধন করে ১০ জেলার পরিবর্তে ২২ জেলা এবং ৫০ উপজেলার পরিবর্তে ১০০ উপজেলায় কমিটিসহ সক্রিয় দপ্তর রাখার শর্ত যুক্ত করা হয়।
ছোট দলগুলোর মতে, এই আইনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিকে জনগণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় দল গঠন ও দপ্তর পরিচালনা করতে গেলে দলের নেতাদের অঢেল সম্পদের মালিক হতে হবে। রাজনীতির শুরুতে এই পরিমাণ বিপুল অর্থ ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা রাজনীতিতে লুটেরা শ্রেণির সৃষ্টি করবে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন প্রধান তিনটি শর্ত বাতিলের পাশাপাশি নিবন্ধন ব্যবস্থা শুধু নির্বাচনের আগে আগে না রেখে সারা বছর চালু রাখার দাবি করেন।