
আলো প্রতিবেদক:
হিংসা বিভেদের পরিবর্তে ভালোবাসার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
কবি সাহিত্যিক বিনয় দেবনাথ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নে ১৭,অক্টোবর
১৯৫৫ সালে গোয়ারি গ্রামে সাহিত্য সংস্কৃতি লালনের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। নম্র, শান্ত, এবং নিরহংকারী আচরণের এই মানুষটি পিতা মাতার প্রেরণায় বাল্যকাল থেকেই কবিতা,গল্প,নাটক লিখার নেশায় পড়েন।
এই পরিবারের পূর্বপুরুষেরা সবাই সংগীত ও সাহিত্যের সম্পর্কে আবহমানকাল থেকেই তাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
পিতার নাম- বিধু ভূষণ দেবনাথ, মাতা নাম- সুষমা দেবনাথ।
শিক্ষাজীবন গোয়ারি প্রাথমিক স্কুলে থেকে শুরু পরে গফরগাঁও উপজেলার কান্দিপাড়া আসকর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি , গফরগাঁও সরকারী কলেজ থেকে আই,এ ময়মনসিংহ আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল (মিন্টু) কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।
শিক্ষা জীবন শেষ করার পর- বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন।
তিনি চাকরিতে দক্ষতা অর্জনে সফল একজন কর্মকর্তা সৎ মানুষ হিসেবে সরকারি চাকরির জীবন শেষ করেন।
চাকরি জীবনের অবসরে লিখে চলেছেন কবিতা,গল্প।
স্কুল জীবনে সাহিত্য দেয়াল পত্রিকায়,ম্যাগাজিনে তার লেখা কবিতা ছাপা হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার সাহিত্য পাতায় বিনয় দেবনাথের লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতায় তার লেখা নিয়মিত পাঠকদের নজর কেড়েছে।
কবি বিনয় দেবনাথ এ-র সাহিত্য আড্ডার গল্প কথা উৎসাহের সঙ্গী বহু গুণী মানুষেরা রয়েছেন।
দেশ-বিদেশের বরেণ্য লেখকের সাথে তাঁর রয়েছে নিবিড় সাহিত্য সম্পর্ক।
ভালোবাসার তীব্র অনুভূতি ব্যক্তির প্রতি গভীর আকর্ষণ, যা আবেগ এবং প্রণয় আচরণের মাধ্যমে বিনয় দেবনাথের কবিতায় প্রকাশ পায়।
কবিতায় মানসিক ও আবেগিক বন্ধন, আগ্রহের সঙ্গে যুক্ত থাকে, আবার কখনো শুধুমাত্র মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্তরে থাকে কবি বিনয় দেবনাথের কবিতা।
এই কবির সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, ছোটগল্প।
তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ পাঠক সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
তার লেখা- “সেই কবে তোমায় দেখেছিলাম”রোমান্টিক কাব্যগ্রন্থ সহ অগ্নিশিখা,প্রেম যন্ত্রণা,পথের শেষ,গুচ্ছ কবিতা ও অশ্রুজল ভিক্ষা এবং উপন্যাস- গলির মোড়ে মেয়ে,পদ্মাবতী এছাড়াও ছোট গল্প- হিজল গাছে ভুত, রাজসিংহাসন ইত্যাদি।
কবি বিনয় দেবনাথ এ-র যাপিত জীবনের নানা গল্প লেখার পাশাপাশি সমাজিক অসঙ্গতিও তুলে ধরেন তাঁর লেখার মাধ্যমে।
কবি হরি সাধন(হরি সাধন,এই নামে এলাকায় পরিচিত) বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে কবি,গল্পকার , নাট্যকার,কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
বিনয় দেবনাথ মনে করেন মানবিক মানুষই আধুনিক মানুষ।
তিনি পাঠক সমাজের মধ্যে নতুন ভাবে বেঁচে থাকার আস্থা তৈরি ও অনুপ্রাণিত করেন এবং তাদের সার্বিক প্রয়োজনে সাহায্য করেন।
তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সফল স্বপ্নবাজ মানুষ তৈরিতে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা চালান প্রতিক্ষণ।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেশ প্রেমের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে শিশুদের মধ্যে সততা, সহমর্মিতা, সম্মান, কৃতজ্ঞতা এবং দায়িত্ববোধ শেখানো জরুরি বলে মনে করেন বিনয় দেবনাথ।
তিনি বিশ্বাস করেন প্রতিবন্ধকতা জয়ের ক্ষমতাই কবি বা লেখককে অন্যদের থেকে আলাদা মর্যাদায় অভিষিক্ত করে।তিনি পুরুস্কারে বিশ্বাসী নয়,সৃষ্টিতে বিশ্বাসী মানুষ।
তিনি চান, তারুণ্যকে ক্ষুদ্র চিন্তা, সংকীর্ণতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি কিংবা রাজনৈতিক দলীয়করণ ও সন্ত্রাসের তাণ্ডব থেকে বেরিয়ে কলমে প্রতিবাদের ঝড় তুলুক।
বিনয় দেবনাথের এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে সংসার।
ছেলে-মেয়ে দুইজনই মানুষ গড়ার কারিগর, স্ত্রী অশকা দেবনাথ স্বামীকে সর্বদায় সাহিত্য আরাধনায় মানসিক ভাবে শক্তি যোগান।
ছেলে সুজিত কুমার দেবনাথ সহকারী অধ্যাপক(বিসিএস) : মুমিনুন্নেছা সরকারি কলেজে, ময়মনসিংহে কর্মরত আছেন। মেয়ে-অনুময়ী দেবনাথ সহকারী শিক্ষিকা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নেত্রকোনায় কর্মরত আছেন।
বিনয় দেবনাথ একজন নিবেদিতপ্রাণ কবি ও সংস্কৃতিসেবী দেশপ্রেমী । তিনি প্রবীণ হয়েও তারুণ্যের উদ্দীপনা ধরে রেখে অবিরাম সৃজনশীলতায় নিয়োজিত মানুষ।
বিনয় দেবনাথ বলেন,আমি রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সাথে একমত হয়ে বলতে চাই- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিবর্তে এনে দেবো তৃতীয় পৃথিবীর শ্রেণীহীন কবিতার ভুবন,” যা ভালোবাসা ও শান্তির বার্তা দেয়।