
এভাবে হঠাৎ হারিয়ে যাবে ভাবিনি কোনোদিন।
বর্ষার জলে কল-কল্লোলে যত দূর সীমায়-
আমি জানি, তুমি আছ মহাশূন্যের প্রতিটি কোণায়।
আছ সৌরজগতের মহাজাগতিক গতিসীমায়,
উল্কাপিণ্ড, নক্ষত্ররাজির ঐ সন্ধ্যা তাঁরায়– আলোক রশ্মিতে, আঁধারের সীমানায়, চাঁদের কণায়।
হেমন্তের বিলে-ঝিলে শাপলায়–
কুমুদ,কচুরি পানায় মৌমাছি ও ডাহুকের শ্বাসে,
ঝরে পড়া শিউলির বোঁটায়–
আমি অনুভব করি–
তুমি মিশে আছ আমার অস্তিত্ব জুড়ে,
আমার কাব্য -কবিতায়, গল্পের পাতায়, শব্দমালার পরে, তোমার নাম ঝরে পড়ে!
হঠাৎ থেমে গেলো সব, থেমে গেলো কলম,
থেমে গেলো আমার হৃদস্পন্দন।
হাওয়ায় নেই গতিবেগ, চাঁদের আলোও ফিঁকে
আঁধার জুড়ে শূন্যতা,সেই পূর্ণতা নেই মোটে।
এভাবে কেনো উধাও হলে তুমি?
সকালের সূর্যও আঁধার, সাঁঝের বাতি নেই ঘরে
আনমনা মন কতোদিন চিরুনি পড়েনি চুলে।
একটু একটু করে খুঁজি সারাক্ষণ–
এই বুঝি এলে দ্বার ঠেলে হৃদে–
দ্বার খুলে রাখি তবুও হারাই বারেবারে।