
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকৌশল শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সামঞ্জস্য আনার লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম “প্রকৌশল শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে মান নিশ্চয়তা”। সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএইটিই) এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)–এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রকৌশল শিক্ষার মান নিশ্চিত করা টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাই সাং লক, সিডনি অ্যাকর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান মিজ ড্যানিয়েলা ইয়াকোনা, এবং আইইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম।
প্রফেসর কাই সাং লক বলেন, “বিশ্বমানের প্রকৌশল শিক্ষা নিশ্চিত করতে অ্যাক্রেডিটেশন একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন বৈশ্বিক সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। বিশেষ করে ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের পূর্ণ অনুমোদন পাওয়ার পর বাংলাদেশের অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত ডিগ্রি এখন আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বমানের বলে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই স্বীকৃতি ধরে রাখতে হলে প্রকৌশল শিক্ষার মান ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
মিজ ড্যানিয়েলা ইয়াকোনা বলেন, “শিক্ষায় গুণগত মান নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে।”
আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, “আইইবি দীর্ঘদিন ধরে প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম সেই প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএইটিই-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তানভীর মনজুর। তিনি বলেন, “অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের প্রকৌশল শিক্ষা নিশ্চিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। সিম্পোজিয়ামের আলোচনাগুলো সেই লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, দুইদিনের এই সিম্পোজিয়ামে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে কারিগরি সেশন, প্যানেল আলোচনা, গবেষণা উপস্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এই আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষা খাতকে বৈশ্বিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী অবস্থান এনে দেবে এবং মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।