
জবি প্রতিনিধি:
বাঁধন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইউনিটের নতুন কার্যকরী পরিষদ-২০২৫ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক ওজিল ও সাধারণ সম্পাদক নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া লিশা নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হয়।
সভাপতি আজিজুল হক ওজিল বলেন, ‘মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া যার অশেষ রহমতে আমি বাঁধনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে যারা এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের দেখানো পথে এবং বাঁধনের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে, নবনির্বাচিত কমিটির সকলকে নিয়ে আগামী দিনের কার্যক্রম গুলো আরো সুন্দরভাবে পরিচালনা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সেই সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সাধারণ মানুষের জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন মিটাতে নিয়মিত কাজ করব।’
সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল মাওয়া লিশা বলেন,’আমরা স্বপ্ন দেখি সেই দিনের, যেদিন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ নিজের রক্তের গ্রুপ জানবে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসবেএই লক্ষ্যকে ধারণ করেই বাঁধনের সঙ্গে পথচলা। বাঁধন আমার কাছে শুধু একটি সংগঠন নয়, একটি পরিবার।বাঁধন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের মাধ্যমে মানুষের সেবার দায়িত্ব দেওয়ায় আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া এবং যারা এই পথচলায় আমাকে যুক্ত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ‘এক ব্যাগ রক্ত’—বাক্যটি ছোট হলেও এর মূল্য অমূল্য। দোয়া কামনা করি, যেন অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি। ইনশাআল্লাহ, মানুষের পাশে থাকার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন জোনাল প্রতিনিধি আশফাকুর রহমান, সহসভাপতি খালিদ হাসান ও ফারহান ইসরাক, সহসাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম রিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল, কোষাধ্যক্ষ সাদিক, দপ্তর সম্পাদক মুনজির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আফসার উদ্দিন, তথ্য ও শিক্ষা সম্পাদক রাকিবুল, নির্বাহী সদস্য সামিয়া, সজিব, শ্যামলী ও সাইদ।
উল্লেখ্য, বাঁধন বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহত্তম এবং সুপরিচিত স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন, যা ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার মূল লক্ষ্য হলো বিপন্ন মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান নিশ্চিত করা এবং রক্তদানে উৎসাহিত করা।