
মোঃ রায়হান পারভেজ নয়ন,
স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী:
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি শীর্ষক প্রকল্প এখন যুব সমাজের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনিত হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দিতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (১৯ডিসেম্বর) সারাদেশের ন্যায় একযোগে নীলফামারীতে ভর্তি পরীক্ষা এবং শনিবার (২০ডিসেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ম ব্যাচের জন্য নীলফামারীর ৬ উপজেলা থেকে এবার আবেদন করেছেন ৮৫৫ জন।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের নীলফামারী জেলার আয়োজনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হল রুমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মানিক হার রহমান। এসময় নীলফামারীর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসান আলী, ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড এর কো-অর্ডিনেটর ছবি রানী, সহকারী কো-অর্ডিনেটর ইসরাত তামান্না, ট্রেইনার মোঃ সাব্বির আহমেদ, আব্দুল হালিম, রেজাউল করিম হীরা, সৈকত জামিল।
পরীক্ষার্থী রাকিবা সুলতানা ও মানিক ইসলাম জানান, ফ্রিল্যান্সিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও সফট স্কিল বিষয়ক তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবো।
প্রকল্পের অফিস সূত্রে জানা যায়, চারটি ব্যাচে মোট ৩০০ জন যুব ও যুব মহিলা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি সরাসরি আয় ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ৫ম ব্যাচে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে ৮৫৫টি আবেদন জমা পড়ে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থী দৈনিক ২০০ টাকা করে ভাতা, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ পাবেন। সরকারের প্রত্যক্ষ তদারকির ফলে প্রকল্পটি দেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা তৈরির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ব্যাপক সাড়া ফেলছে।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড এর কো-অর্ডিনেটর ছবি রানী জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দিতে শুরু করেছে। সরকারের প্রত্যক্ষ তদারকির ফলে প্রকল্পটি দেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা তৈরির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ব্যাপক সাড়া ফেলছে।