কলমেঃ কাকলি রানী ঘোষ
ছোট্ট শিশু প্রশ্ন করে, বুদ্ধিজীবী দিবস কি মা?
বলোনা মা আমায়।
আঁচল তলে মুখ ঢেকে মায়ের, এক বুক দীর্ঘশ্বাস বাহির হইল অবচেতন মনে।
যাহাদের বুদ্ধিতে চলে দেশ, গুরুত্ব পাই সবখানে,
সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদ বহু গুণীজনে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল হানাদার বাহিনীরা।
আজি এই ১৪ ই ডিসেম্বর স্মরণে বরণে বাঙালির প্রাণ।
অশ্রু জলে স্তম্ভিত বাংলা।
চাপিয়ে দিয়েছিল অত্যাচার অন্যায় বাঙালির উপর,
ভাষা কেড়ে নেবে এমনই মূর্খ, বোঝেনা বিবেকহারা।
বোঝেনা তারা মায়ের ভাষা, কেড়ে নেয়া অত সহজ নয়।
বুদ্ধিজীবী হত্যা করিল এই মূর্খের দল।
মেধা শূন্য হইলো বাংলা, খালি হইল মায়ের কোল।
খোকা অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন,
অন্য সংস্কৃতি গ্ৰাসিবে সবে, এমন বুদ্ধি হয় কেমনে?
তারা কি মানুষ, মনে হয় না তার।
মানুষরূপী নিশ্চয়ই কোন জানোয়ার।
ন্যায় নীতির পথে না গিয়ে চাপিয়ে দেয় অন্যায়।
খোকা ভেবে না পাই তা, বিবেকহারা এমন মানুষ কেমনে হয়!
অবাক বিস্ময়ে তাকায় দূর সীমানায়।
কেন,? মানুষের প্রতি এমন জোর জবরদস্তি, কারা ঘটায় এমন কাজ।
ছোট্ট খোকা যা বোঝে ওরা তা বোঝেনি, এমনই পশুর দল।
ছোট্ট শিশু বোঝে সরল মনে, নিশ্চয়ই ওরা দৈত্য দানব এ ছাড়া কিছু নয়।
কারণ, ছোট্ট খোকা বোঝে শান্তি আর মায়ের আঁচল।
মূর্খেরা বোঝেনা, বাংলা মায়ের আঁচল তলে নিরাপদ থাকবো চিরকাল।