নেত্রকোনা সংবাদদাতা:-
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা সহায়তায় দুর্গাপুরের বৃদ্ধা রোজেলা হাজং আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন।
দীর্ঘ চিকিৎসা ও সফল অস্ত্রোপচারের পর ২০/১২/২০২৫ রোজেলা হাজং-এর শরীরে আর্টিফিশিয়াল পা সংযোজন সম্পন্ন হয়। ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে তিনি ময়মনসিংহের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশনায় তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য কাপড়, শীতবস্ত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে এবং টিমের পক্ষ থেকে তাঁকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
দীর্ঘদিনের অসহায় জীবন,উল্লেখ্য, প্রায় ৮০ বছর বয়সী রোজেলা হাজং গত ৫ মাস ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। ফলে চিকিৎসা তো দূরের কথা, নিত্যদিনের খাবার জোগাড় করাও তাদের জন্য ছিল দুঃসাধ্য। চরম মানবিক সংকটের মধ্যেই দিন কাটছিল এই পরিবারটির।
দূর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকি ঢাকা পাড়া গ্রামের এই অসহায় বৃদ্ধাকে গত ৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে লেংগুড়া ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে দু’জন সহৃদয় মানুষ বাঁশের তৈরি চাঙ্গারীতে করে নিয়ে আসেন চিকিৎসা করানোর জন্য। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অবস্থা গুরুতর এবং দ্রুত অর্থোপেডিক সার্জারি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
প্রতিশ্রুতি থেকে বাস্তবায়ন, এই বিষয়টি জানতে পেরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাৎক্ষণিকভাবে সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকেননি—বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে রোজেলা হাজংকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা সফলভাবে তাঁর অপারেশন সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে আর্টিফিশিয়াল পা সংযোজন করা হয়। কায়সার কামাল বলেন আলহামদুলিল্লাহ, চিকিৎসা শেষে আজ তিনি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন—যা এলাকাবাসীর জন্য এক আনন্দঘন ও আবেগঘন মুহূর্ত।
কায়সার কামালকে আদিবাসী জনপদের কঠিন বাস্তবতা
স্থানীয়রা জানান, গারো পাহাড় অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজও অবহেলিত। বিশেষ করে হাজং সম্প্রদায় অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার অভাব, চিকিৎসা সেবার দুর্বলতা ও দারিদ্র্যের কারণে তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে।
এই প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এই মানবিক উদ্যোগ শুধু একটি চিকিৎসা সহায়তাই নয়, বরং অবহেলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মানবতার পক্ষে অঙ্গীকার
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রাজনীতিকে শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন।
মানবতার কল্যাণে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আরো বলেন -অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই পথচলা অব্যাহত থাকবে—ইনশাআল্লাহ।