সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কবি মোঃ জাবেদুল ইসলাম নদী–মানুষ–মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া এক সাহিত্যিক জীবন ৩বারের মত ওমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান সিআইপি” নির্বাচিত, ওমানে আনন্দের উল্লাস পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে প্রাক বড়দিন উদযাপন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নওগাঁর সাপাহারে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন কবিতাঃ পথ প্রহরের যাযাবর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুরে ঘাসফুলের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত জগৎটা কি সত্যিই মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে? বুদ্ধিজীবী দিবসে নীলফামারী জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি বাহার উদ্দিন বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশনের কার্ষকরী সদস্য নিবার্চিত

নিয়ামতপুরে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১১৪ Time View

এস এম রকিবুল হাসান
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে বারুণীপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  প্রতিবছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে এই  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গঙ্গা দেবীর আরেক নাম বারুণী। চৈত্র মাসের ত্রয়োদশ তিথিতে গঙ্গা দেবীর নামে প্রাচীনকাল থেকেই এই বারুণী পূজার প্রচলন হয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার ভাবিচা গ্রামের বারুণী মন্দিরে গঙ্গা দেবীর আরাধনার মধ্য দিয়ে বারুণীপূজা শুরু হয়। বারুণী পূজাকে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গণে গ্রামীণ মেলা বসে।

দুপুরে মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়,  প্রতিবারের মতো এবারও উৎসব ঘিরে মন্দির এলাকায়  মেলা বসেছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ক্রয় করছেন লোকজন।মেলা ঘুরে দেখা গেছে- গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা।

মেয়েদের প্রসাধনীসামগ্রীর দোকান। মিষ্টির দোকান। দেশীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি  ছাড়াও গৃহস্থলির সামগ্রীর অনেক জিনিস উঠেছে। এছাড়াও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দোকান রয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।

ভাবিচা বারুণী পূজা কমিটির সভাপতি নিহার রঞ্জন সরদার বলেন, ভাবিচা গ্রামে অনেকদিন আগে থেকেই বারুণী পূজা ও গ্রামীণ মেলা বসে। অনেক লোকজনের সমাগম হয়।

প্রতিবছরের মতো এবারও বারুণীপূজা হচ্ছে। দিনব্যাপী মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। 
মেলাতে এসেছিলেন টিপু মন্ডল ২৫)। তিনি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই এই মেলাতে আসি। তখন আমাদের বাবা-দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। এখন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসি। অনেক লোকের সমাগম হয়। ভালোই লাগে।

মানিক মন্ডল (৪০) বলেন, লোকজ সংঙ্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলাগুলোর উৎকর্ষতা আগের মতই স্বমহিমায় টিকে থাকুক। মানুষ প্রাণের টানে ছুটে আসুক এসব মেলায়। কালের আর্বতে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন ম্লান না হয়ে যায় গ্রামবাংলার এই লোকজ সংস্কৃতি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102