বিশেষ প্রতিনিধি:
ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস ও বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশি কবি, কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অথই নূরুল আমিন বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস ও বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত ৩ এপ্রিল ২০২৫, ভারতের লোকসভায় পাসকৃত বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল, যেন মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানা ও অধিকার হরণে বিজেপি সরকারের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার আরেকটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত এবং গভীর এক চক্রান্ত ধারণা করা হচ্ছে। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের অতীত এবং বতর্মান দানকৃত জায়গা জমিতে মসজিদ, মাদরাসা, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্র (এতিমখানা)র মতো ধর্মীয় সম্পদগুলোতে সরকারিভাবে হস্তক্ষেপ ও দখলের পথ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া স্বঘোষিত ভাবে অমুসলিমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করে মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্য নষ্ট করার ঘৃণ্য চক্রান্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সংশোধনী বিলে ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম ২ জন সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব হয়ে যাবে, যা মুসলমানদের জন্য চরম উদ্বেগের বিষয়। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়বে। আমি মনে করি, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যেই এই বিল পাশ করা হয়েছে। যা বতর্মান এই সভ্য যুগে অসভ্যতার এক চরম নির্দশন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সমগ্র ভারতে পঁচিশ কোটির বেশি মুসলমানের বসবাস। ভারতে হাজার বছরের বেশি সময় ধরে মুসলিম ইতিহাসের পুরাতন মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় স্মৃতি রয়েছে। যা নানা কূটকৌশলে বিজেপি সরকারের আমলে ধ্বংস করা হচ্ছে। এদিকে মুসলমানদের অন্যতম শরীয়তের বিধান ‘তিন তালাক’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাভ ম্যারিজের নামে ধর্মান্তর প্রক্রিয়াকে সীমিত করা হয়েছে। গরুর গোশত রাখার অযুহাতে মুসলমানদের প্রায়ই পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ভারতের বিজেপি সরকারের এসব কর্মকান্ডই প্রমাণ করে তারা চরম মুসলিম বিদ্বেষী।
আমি ভারতের বিজেপি সরকারকে এসব মুসলিম বিদ্বেষী অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করছি যে, তারা ভারতের মুসলমানদের জীবন, সহায়-সম্পত্তিসহ সকল স্বার্থরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে।