নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পানিশাইল গ্রামে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে পানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে বোরহান সহ কয়েক জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করে ফেরদৌস।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় একই গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকিধামকি প্রায় দিত বোরহানসহ তার পরিবার।
এ বিষয়ে ফেরদৌস বলেন, গত ২ এপ্রিল রোজ বুধবার বেলা আনুমানিক ১টার দিকে নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিনের ছেলে তানভীরুল, ফেরদৌসের ধানের জমিতে ধানের থোপের ভেতরের ঘাস কাটছিল,তাকে ঘাস কাটতে নিষেধ করাই তানভীর তার বাড়িতে চলে যায়, ফেরদৌস ও তার বাড়ি চলে আসে।
এমতাবস্থায় বেলা আনুমানিক ১টার দিকে পানিসাইল গ্রামের বাসিন্দা মৃত ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে বোরহান ও মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে ইয়াসিন সহ বেশ কিছু লোকজন, ফেরদৌসের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে,
ফেরদৌস ও তার স্ত্রী পারভিন বেগম, ফেরদৌসের ছেলে ফয়সাল পারভেজ, ও মেয়ে তিশাকে মারধর করে।
এমত অবস্থায় ভিকটিমদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয়, স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত
পারভিনকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে,তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ামতপুর সরকারি হাসপাতালে থাকাকালীন ভিকটিম পারভীন বলেন, ঘাস কাটার ঘটনা সহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইয়াসিন ও বোরহান ফেরদৌসের পরিবারকে মারধর করার বিষয় অস্বীকার করেন।
ভিকটিম ফেরদৌস এ ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল রোজ শনিবার , মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে বোরহান, সহ মোট ৫জনকে অভিযুক্ত করে নিয়ামতপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ফেরদৌস বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। মামলার মূল আসামী বোরহানকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।