স্টাফ রিপোর্টার:
গত ৮ই এপ্রিল ২০২৫ রবিবার রাত আনুমানিক দুইটা নাগাদ নিজ বাড়িতে কিশোর অবস্থাতেই কিশোর চন্দ্র বর্মন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন,যা সবার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
কিশোর চন্দ্র বর্মন নম্র ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল, তাই তার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ আজ সবাই। মা বীণাপাণি গীতা শিক্ষার্থী কিশোরের পৈতৃক নিবাস নারায়ণগঞ্জ জেলার ধুপতারা গ্রামে কিন্তু গত একবছর ধরে নরসিংদী রায়পুরা সাউদপাড়া গ্রামে তার নিজ মামা বাড়িতে থেকে সেলুনে চুল কাটার কাজ শিখছিলেন দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করে বাবার পাশে দাঁড়ানো জন্য।
মামা বাড়িতে থেকে কাজ শেখার পাশাপাশি শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতার অমৃত সুধা পান করার অভিলাষ নিয়ে ভর্তি হন সাউদপাড়া মা বীণাপাণি শ্রীশ্রী রাঁধাকৃষ্ণ গীতা শিক্ষালয়, যেখানে নিঃস্বার্থ ভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাঠদান করে যাচ্ছেন মা বীণাপাণি অমৃত সংঘ এর সেবক শ্রী শীতল চন্দ্র বর্মন মহাশয়। কিশোর চন্দ্র বর্মন এর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত ১০/১২ দিন ধরে ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করতো না সে, সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতো রাতে ঠিকমতো ঘুমাতো না কারো সাথে আগের মত কথা বলতো না কেমন যেন চুপচাপ অস্থির হয়ে থাকতো। মামা বাড়িতে এমন হলে ব্যাপারটা তার মাকে জানো হয় এবং পরবর্তীতে কিশোরকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে ছেলের এমন অবস্থা দেখে তার বাবা মা ডাক্তার দেখিয়ে বিভিন্ন পরিক্ষা করলেও খুঁজে বের হয়নি কোনো সমস্যা বা রোগ। তারপর তার বাবা মা ছেলেকে কালো জাদু বা বান মারা হয়েছে এমন সন্দেহ করে দেখান কবিরাজ, তাতেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। সবশেষে বাবা মা আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাইকে অশ্রু জলে ভাসিয়ে চিরবিদায় নেন না ফেরার দেশে।
এই অল্প আয়ূতে অকালে ঝরে যাওয়া তরুণ প্রাণ শ্রী কিশোর চন্দ্র বর্মন এর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে করেছেন নিঃস্বার্থ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান মা বীণাপাণি অমৃত সংঘ। মা বীণাপাণি অমৃত সংঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে বলেন কিশোর মত এমন অকাল মৃত্যু সয্য করার মত নয়,মা বাবার জন্য সারাজীবনের চরম দুঃখের কারণ এলো এই অকাল মৃত্যু আমরা এমন বেদনাদায়ক ঘটনা এই জগতের কোনো বাবা মায়ের জীবনে আসুক আমরা তা ভুলেও চাই না, যৌবনে পদার্পনের পূর্বেই কিশোরের অকাল প্রয়াণ আমাদের খুব বেদনা দিয়েছে এবং বিবৃতিতে গীতা শিক্ষার্থী কিশোর চন্দ্র বর্মন এর অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ ও পরমেশ্বর ভগবানের নিকট তার বাবা মা এবং সদ্য প্রয়াত শ্রী কিশোর চন্দ্র বর্মনের আত্মার শান্তি লাভের আশায় প্রার্থনা করেন এবং সাউদপাড়া মা বীণাপাণি শ্রীশ্রী রাঁধাকৃষ্ণ গীতা শিক্ষালয় তার নিজ গীতা স্কুলে সবাইকে নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।