বোমার আঘাতে কেঁপে ওঠে নগর,
আকাশে উড়ে যায় ছিন্নভিন্ন স্বপ্নের শরীর।
মানুষ উঠে ধুলোর সাথে,
ভেসে বেড়ায় বাতাসে—
জীবনের গন্ধ নয়,
লাশের করুণ গন্ধ।
ছিন্ন কপাল, রক্তাক্ত চোখ,
শিশুদের কান্না থেমে গেছে অনেক আগেই।
কোনো প্রার্থনা পৌঁছে না এখন,
ধোঁয়ার দেওয়ালে আটকে যায় আর্তনাদ।
বাতাস ভারী, শোকের মত নিঃশব্দ,
নির্মম সময় ঠায় দাঁড়িয়ে—
জানালার পাশে, মৃত্যু গুনছে সংখ্যা।
এ কি যুদ্ধ? না কি পিশাচের উৎসব?
মানবতার চিৎকার আজ ব্যর্থ,
আকাশে শুধু ধ্বংসের কাব্য লেখা।
ভোর হয়, কিন্তু সূর্য ওঠে না আর,
আলো মানে এখন ধ্বংসের ধোঁয়া।
মাটির নিচে গুনগুন করে শোক,
জীবন খুঁজে ফেরে আশ্রয়ের ঠাঁই।
ছায়ারা ঘুরে বেড়ায় নিঃশব্দ পথে,
যেখানে ছিল হাসি, এখন কেবল ছাই।
একটা খেলনা পড়ে আছে এক কোণে,
মালিক তার চিরতরে নিখোঁজ।
কে লিখবে ইতিহাস এই রক্তের কালি দিয়ে?
কে বলবে, একদিন এখানে মানুষ ছিল?