মোঃ মাহফুজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা বিভাগ:
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধিন পিলজংগ ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার পিতা আব্দুল গনি ওরফে (কুটি) মাতা ফিরোজা বেগম পরিবারে দুই বোন এক ভাইয়ের জন্য পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে যা অনেকেই করতে পারেননি তা করে দেখিয়েছেন এই মৌসুমী আক্তার ২০০৬ সালে ইউনিয়ন উদ্যোক্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন কায়দায় টাকা উপার্জনের কৌশল। যার মধ্যে রয়েছে ইউনিয়নের বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, জন্ম সনদ, ৩০ কেজি চালের কার্ড, সহ বিভিন্ন ধরনের ইউনিয়নের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা খবর নিয়ে জানা যায় একটি জন্ম সনদ করতে হলে তাকে দিতে হয় দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা শুধুই তা নয় বিভিন্ন মানুষের নাম দিয়ে উঠিয়ে নিয়েছেন বয়স্ক ভাতার টাকা আবার কারো বা নাম দিয়ে উঠিয়ে নিয়েছেন মাতৃগর্ভের টাকা ২০০৬ সাল থেকে ইউনিয়নে যোগদানের পর থেকেই তার নামে রয়েছে হাজার অভিযোগ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন তার মাসিক আয় কত ছিল তা কারোরই জানা নেই। কিন্তু একটি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা হিসেবে তার আয়ের উৎস এত বেশি ছিল যে বর্তমানে সে নিজে কয়েক কোটি টাকার মালিক বলেই সকলে ধারণা করছেন সাধারণ মানুষ এমনকি কোটি টাকার হুমকি দিয়ে থাকেন সে নিজেই আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন জোর করে অন্যের সম্পত্তি নিজের নামে নেওয়ার চেষ্টাও করেছেন তিনি নিজের নামে বিভিন্ন স্থানে কিনেছেন সম্পত্তি। করেছেন বিশাল মার্কেট সহ বাড়ি, নিজ বাড়ির সামনে করেছেন একটি মুদি দোকান শুধুই তাই না বাড়ির বড় মেয়ে হিসেবে সে এখনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি দুই বোন এক ভাইয়ের সংসারে দুই ভাই বোনকে লেখাপড়া শিখাতে খরচ করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কোথায় পেয়েছেন এত টাকা তা এলাকার মানুষের জানতে বাকি নেই সকলেরই ধারণা মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন কায়দা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন এ সমস্ত টাকা। যার অত্যাচারে আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ভুগেছেন এলাকার অনেকেই ওই ইউনিয়নের এমন কোন মানুষ নাই তার প্রতারণার শিকার না হয়েছেন তবুও তার বিরুদ্ধে কেউই মুখ খুলতে সাহস পাননি আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ক্ষমতার দাপটে মৌসুমী আক্তার মানুষকে মানুষ বলেও দাম দিতেন না ২০০৬ সালে সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান থাকাকালীন মৌসুমী আক্তার চাকরি জীবন শুরু করেন পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পলাশ, তার পরবর্তীতে চেয়ারম্যান জাহিদ মোড়ল থাকাকালীন হাজার হাজার মানুষের পকেট খালি করে নিয়েছেন এই উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার যার প্রমাণ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ১৪ ই জুলাই ২০২০ দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায় একটি দুর্নীতির প্রতিবেদন ছাপা হয়। উক্ত প্রতিবেদনের বলা হয় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিশেষ বরাদ্দের আওতায় বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়াও বই জমা দেওয়ার সময় অফিস খরচের কথা বলে ৫ শত করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফকিরহাট উপজেলায় বয়স্ক ও বিধবারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে প্রতিবন্ধীরা প্রতি মাসে সাড়ে ৭ শত টাকা হারে তিন মাস পর এই টাকা হয়ে থাকেন। পিলজংগ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নিমাই শীল অনেক বয়স্ক একজন বৃদ্ধ চোখে দেখতে পায় না পরিবারের সদস্যদের উপর ভর করেই তার চলাফেরা। ওখানে আরো উল্লেখ করা হয় মৌসুমীর বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়াদের পরিষদের কাজ করে যাচ্ছেন ২-৪ টি বিষয় নয় সরকারের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে অত্র ইউনিয়নে এমনটাই দাবি করেছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষেরা ইউনিয়নে বিতর্কিত বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা ভিজিডি কার্ডের জন্য অবৈধভাবে অফিস খরচের নাম করে এভাবেই অর্থ আদায় করে আসছে ইউনিয়নের এই উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার। পত্রিকাটিতে আরো উল্লেখ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশের যোগসাজশে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন এই মৌসুমী আক্তার।
তার দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে কেঁপেছেন যে সকল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করেন সকল চেয়ারম্যানই তার কথার বাইরে চলেন না সে কারণেই আরো ভয়ে থাকতেন সাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও তার চাকরি বহল রয়েছে । এখনো পর্যন্ত ইউনিয়নে উদ্যোক্তা হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন মানুষের হাজার হাজার টাকা আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন আয়ের উৎস বেশি থাকলেও ইদানিং একটু কমেছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ তবুও কমেনি ক্ষমতার দাপট কোথায় পায় একজন ইউনিয়ন উদ্যোক্তা এত ক্ষমতা তা এলাকার সাধারণ মানুষের অজানা অর্থলোভী এই মৌসুমী আক্তার মা বাবা ভাই বোনের সংসার বাঁচাতে গিয়ে নিজে এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেননি বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪০ থেকে ৪২ হলেও বিয়ের কোন চিন্তা ভাবনাই নেই পরিবারের কারও। এর মধ্যেও রয়েছে নানান ধরনের অনৈতিক গল্প যা অনেকেই প্রকাশ করতে রাজি নয় সম্পদ লোভী ও অর্থলোভী এই মৌসুমী আক্তার নিজের আপন মামার নামেও করেছেন মামলা। একজন ইউনিয়ন উদ্যোক্তা হয়ে কোথায় পেলেন এত টাকা কোথা থেকে আসলো কিভাবে আসলো তা অনেকেরই মনে প্রশ্ন। নাম না প্রকাশ করা অনেকেই বলেছেন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনু সাহেব যদি মৌসুমী আক্তারের ইউনিয়ন থেকে বের করে দেয় তাহলেই উক্ত ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।